Posts

Showing posts from 2010

দূর্নীতি ছেয়ে আছে নওগাঁ বিটিআরএ

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন বিআরটিএ’র নওগাঁ সার্কেল অফিসে বিভিন্ন দূর্র্নীতির সাথে অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগ নিয়ে তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে অফিসের দূর্ণীতির পিলে কাঁপানো কিছু চিত্র পাওয়া গেছে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমান (এডি) মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঢাকা মে:ট্র-১৪-০১৫১ ও সিলেট- জ- ১১-০৩৮৬ ঢাকা ও সিলেট পোষ্টঅফিসের ছাড়পত্র ছাড়ায় নওগাঁ জেলায় অন্তর-ভুক্তি করেন।এ ব্যাপারে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান নওগাঁতে (এডি) হয়ে এসেছি টাকার জন্য টাকা হলে সব সম্ভব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএর একজন কর্মচারী সাংবাদিককে জানান নওগাঁ- হ- ১১-৪১০৭ নং মোটর সাইকেলের দোকানের ক্যাশমেমো পুরো ফাইল পাওয়া জাচ্ছেনা। হয়ত বা টাকার বিনিময়ে (এডি) সাহেব নওগাঁ- হ- ১১-৪১০৭ নং টি ভুয়া করে দিয়েছেন এই ধরনের কাজও তিনি এর আগেও করেছেন বলে অভিযোগ করেন। নওগাঁ বিআরটিএ সার্কেলের এ অফিসে সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) (এডি) , একজন এম ভি আই বা মোটর ভেহিকেল পরিদর্শক ,অফিস পিয়ন ও একজন সিলম্যান

প্রকৃতির রম্নদ্রতায় এবারে নওগাঁয় খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে

Image
প্রকৃতির রম্নদ্রতার অভিশাপে অভিশপ্ত নওগাঁ। শ্রাবন শেষ হয়ে এলেও নওগাঁর প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নওগাঁর প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার হেক্টর জলাশয় শুস্কপ্রায় হয়ে রয়েছে। এ ছাড়াও চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৯ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লৰ্যমাত্রা নির্দ্ধরণ করা হলেও এখনো পর্যনৱ মাত্র ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা সম্ভব হয়েছে। এই রোপনকৃত আমন জমির অর্ধেকেরও বেশী জমির ধান ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পানির অভাবে শুকিয়ে মরে গেছে। অবস'া পর্যবেৰনে ধারণা করা হচ্ছে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের জন্য খ্যাত নওগাঁ জেলায় এবারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অবশ্য কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ বলছে এখনো প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হলে উন্নত জাতের শরম্ন চালের 'আতপ' ধান রোপন করে কৃষকেরা তাদের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। নওগাঁ জেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রতি বছর নওগাঁয় গড়ে ৫২ হাজার ৯১৪ মে:টন মাছের উৎপাদন হয়ে থাকে। এই উৎপাদন থেকে নওগাঁর প্রয়োজনীয় ৪৩ হাজার ৬৭৫ মে:টন মাছের চাহিদা পূরনের পর অতিরিক্ত ৯ হাজার ২৩৯ মে:টন মাছ দেশের অন্যান্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। এবারে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে নওগাঁর মাছের চাহিদাই পূরণ হবে না

উত্তরাঞ্চলের এখন পুরুষের পাশাপাশি নারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল পরিবহনে আগ্রহী হয়ে উঠছে

Image
অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে ঝুঁকি আছে যেনেও উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার নারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ফেনসিডিল বহনের কাজে জরিয়ে পড়ছে। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো এ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অপর দিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দুর্বলতার সূযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ফেনসিডিল আমদানীকারক গডফাদারেরা বরাবরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। দামে কম আর সহজেই আমদানীর সূযোগে নওগাঁর বিভিন্ন সীমান- দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার খোলা ফেনসিডিল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আমদানী কারক গডফাদারেরা নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত ধামইরহাট.মান্দা,মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুরের প্রত্যন- গ্রামাঞ্চলে খোলা ভাবে আমদানী করা সকল ফেনসিডিল বোতল জাত করে লেবেল এটে দালালের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ কাজে রাজশাহী, চাপাই নবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার অভাবী নারীদের এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে । নওগাঁর বিভিন্ন থানার তথ্য অনুসারে গত ১ বছরে ফেনসিডিল বহনের দায়ে প্রায় ৫শ নারীকে ফেনসিডিল বহনের সময় মালামাল সহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সময়েই ড

নওগাঁয় পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে,মেলায় অবৈধ ব্যাবসা

Image
নওগাঁয় পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন তিনটি মেলার অনুমোদন দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা সব জেনেও না জানার ভান করছে। নওগাঁর মেলাগুলোতে অবাধে চলছে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া খেলা, জম জমাট মাদক ব্যবসা। মহাদেবপুর উপজেলার পাঠাকাটা হাটে আনন্দ মেলা, এর নিকটবর্তি মান্দা উপজেলার সুতিহাটে রথযাত্রা মেলা চলছে। পাঁঠাকাটা-সুতিহাট এই দুটি মেলা পাশাপাশি উপজেলা মান্দা ও মহাদেবপুর মাত্র ৩ কি: মি: দুরে একই সঙ্গে বসায় মেল কর্র্র্র্তৃপক্ষ মেতে উঠেছে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের প্রতিযোগীতায়। তারা মনে করছে যে যত বেশি অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করবে তাদের দর্শক তত বেশি হবে। এসব মেলাতে বাড়তি কোন দোকান পাট না থাকলেও রয়েছে পুতুল নাচ, যাত্রার নামে হাই-শো ও জুয়া খেলা, এ যেন যুবসমাজ ধংসের এক নতুন খেলা। এখানে পুলিশ রয়েছে পুতুলের মত দাড়িয়ে, মেলাগুলোতে সার্কাস, যাত্রাপালা ও পুতুল নাচের নামে চলছে চলচ্চিত্র নামধারী শিল্পিদের বক্ষবন্ধণী খুলে উলঙ্গ দেহ প্রদর্শন, যৌন উত্তেজক নাচ-গান , দেহ ব্যবসা, র‌্যাফেল ড্রর নামে লটারী, তাসবোর্ডের জুয়া, হাউজি এবং জমজমাট মাদক ও ফেন্সিডিল ব্যবসা। স'

খরার কারণে কৃষকদের বাড়তি খরচ শত কোটি টাকা

খরার কারণে বৃষ্টিনির্ভর আমন ধানের ফলন এবার সেচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলে শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাটে খরা ইতিমধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোরোর তুলনায় ফলন প্রায় ৪০ শতাংশ কম হওয়ার কারণে আমনের উৎপাদন খরচ এমনিতেই বেশি হয়। তার সঙ্গে এবার সেচখাতে বাড়তি ব্যয় যোগ হওয়ায় এ উৎপাদন খরচ আরও বাড়বে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মৌসুম জুড়ে খরা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ওই ৩ জেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমি সেচের জন্য বাড়তি ১০০ কোটি টাকা খরচ গুণতে হবে কৃষকদের। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, আমন আবাদের জন্য জুলাই মাসে কমপক্ষে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ৩১ জুলাই পর্যন্ত বগুড়ায় মাত্র ৯১ দশমিক ০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। একই অবস্থা নওগাঁ ও জয়পুরহাটেও। দুই জেলায় জুলাই মাসে চাহিদার ৩ ভাগের ১ ভাগও বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। প্রয়োজন মেটাতে মাঠে মাঠে ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে। বগুড়ার পল্লী বিদ্যুৎ সম

সুপেয় পানির অভাবে নওগাঁর ৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থের ঝুঁকির মধ্যে দিন পার করছে

শুধুমাত্র সুপেয় পানির অভাবে চুড়ানৱ স্বাস্থের ঝুঁকির মধ্যে দিন পার করছে নওগাঁর ৩০ লাখ মানুষ। নওগাঁবাসীরা যে সকল পানি পান করছে তার মধ্যে আর্সেনিক সহ মানবদেহের জন্য ৰতিকর সীসা ও অন্যান্ন খনিজ পদার্থ থাকায় এলাকায় পেটের নানারূপ রোগ সহ চর্মরোগ ও অন্যান্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছেন নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: আশেক হোসেন। নওগাঁ জেলায় প্রায় ৮মাসের অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস' পানির সৱর নীচে নেমে যাওয়ায় হাতে চালানো নলকূপ গুলির ৯৭শতাংশই ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে আছে বলে জনস্বাস'্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও নওগাঁ পৌর এলাকা সহ অনেক গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যেই গভীর নলকূপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানি সরবরাহের কাজ শেষ হয়েছে। হাতে চালানো নলকূপগুলিতে আর্সেনিকের মাত্রা নির্দ্ধারণ করে অসহনীয় মাত্রার আর্সেনিক যুক্ত নলকূপ গুলি চিহ্নিত করা হলেও কোন গভীর নলকূপে আর্সেনিকের মাত্রা নির্দ্ধারণ করা হয় নি। ডা: আশেক হোসেনের মতে গভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিক ছাড়াও অন্যান্ন খনিজ পদার্থের মাত্রা এতো বেশী থাকে যে সে পানি মানব দেহের জন্য ৰতির কারণ হয়ে থাকে। তিনি জানান, এ করাণেই নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে ইদানিং চর্ম রোগ সহ বিভিন

মান্দার ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্‌রাসার শিক্ষকদের মানবেতর জীবন

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্‌রাসাটি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশা ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যতম সংগঠক মরহুম হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব ফারাজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব অহির উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আছির উদ্দিন ও প্রতিষ্ঠানের সুপার হায়দার আলী জোয়াদ্দারসহ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের উদ্যোগ ও সহযোগীতায় বিগত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এবতেদায়ী ১ম থেকে এবতেদায়ী ৫ম শ্রেণী পর্যনৱ পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে দাখিল শ্রেণী পর্যনৱ উন্নীত করে ২০০১ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০০৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। অন্য সকল প্রাচীন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলেও এটি এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি। এছাড়া বিগত সরকারের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের পরে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাও এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন' কি কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত হয়নি তা নিয়ে জনমনে নানা

নওগাঁয় আইন-শৃঙ্খলা পরিসি'তির কোন উন্নতি হয় নি

নওগাঁ জেলা পুলিশের সাঁরাশি অভিযানের ফস্কোগেড়ার ফলে ২/৩ দিন আত্নগোপনে থেকে বেরিয়ে এসে নওগাঁ শহরের বখাটে ও নেশাগ্রস' কিশোর যুবকেরা আবারো শহরে বীরদর্পে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে শহরে আইন শৃঙ্খলা পরিসি'তির অবনতি নিয়ে গত ৩ মার্চ জেলা প্রশাসনের এক সভায় খোদ জেলা প্রশাসক আহসান হাবীব তালুকদার শহরবাসীকে শতর্কভাবে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছেন। চলতি বছরের মধ্য জানুয়ারী থেকে নওগাঁ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিসি'তি ভেঙ্গে পড়ায় জেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই অস্বাভাবিক রকমের বেড়ে যায়। পরিসি'তি এতোই ভয়াবহ হয়ে উঠে যে রাতের বেলা শহরে রিক্সা চলাচল পর্যনৱ বন্ধ হয়ে পড়ায় রাত ১১ টার পর ঢাকা থেকে রাতের কোচে নওগাঁ আসা বা পার্শ্ববর্তী শানৱাহার জংশনে আসা বিভিন্ন ট্রেনে নওগাঁর বাইরে থেকে আগত যাত্রীরা শহরের ঢাকা বাসষ্ট্যান্ডে ও শানৱাহার ষ্টেশনে সারা রাত দাড়িয়ে কাটাতে বাধ্য হন। এরকম পরিসি'তিতে গত ২৪ ফেক্রয়ারী ঢাকা ফেরত পুলিশের এক এএসআই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাদের হাতে আহত হয়ে মৃত্য বরণ করেন। এ ঘটনার পর জেলা পুলিশ শহরে সাঁরাশি অভিযান চালিয়ে শহরের বখাটে ও নেশাগ্রস' কিশোর-যুবক সহ চিহ্নিত অপরাধিদের গ্রেপ্তা

বন্ধু হতে চাই

যদি তুমি বন্ধু হতে চাও দু'হাত বাড়িয়ে দাও, আমার তরে। যদি তুমি শত্রু হতে চাও ঘৃণা করিওনা আমায় রাখিও তোমার হৃদয়ের মাঝে। যদি তুমি বন্ধু হতে চাও হাত বাড়িয়ে দাও, আমার তরে। যদি তুমি হতে চাও, সত্যিকারের বন্ধু ! তোমার দুঃখে দূঃখী হয়ে, তোমার সুখে সুখী হয়ে, তোমার সাথে থাকব সারা জীবন। যদি তুমি বন্ধু হতে চাও দু'হাত বাড়িয়ে দাও, আমার তরে।

উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, কৃষিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। চলতি বোরো মৌসুমে পুরোদমে সেচকাজ শুরুর আগেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেচ কাজে ব্যবহৃত শ্যালো পাম্প এমনকি হস্তচালিত নলক‚পগুলোতে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এরইমধ্যে বেশকিছু হস্তচালিত নলক‚প অকেজো হয়ে পড়েছে। পানি কম ওঠায় আরো গভীরে নামানো হচ্ছে শ্যালো পাম্পের পাইপ। পানির স্তর ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে এবার মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নওগাঁ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত বছরের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ও অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রতি বছরই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১ থেকে ২ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে অগভীর সেচ পাম্পগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর গর্তে নামিয়ে সেচ কাজ চালানো হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো পানি না ওঠায় পাম্পগুলো আরো ৫ থেকে ৬ ফুট গভীরে নামানো হচ্ছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বিএ

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় মালী থেকে ড্রাইভার

নওগাঁ জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা মান্দা উপজেলার প্রায় সোয়া ৪ লক্ষ লোকের সার্বিক পরিসি'তি দেখাশুনার মুনিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি সরকারের বেতন ভূক্ত একজন ড্রাইভারকে বসিয়ে রেখে উপজেলা পরিষদের মালীকে ড্রাইভিং কাজে ব্যবহার করা করছেন। জানা যায়, উপজেলার সরকারি ড্রাইভার বাসায় বসিয়ে রেখে সরকারি বেতন দিয়ে উপজেলা পরিষদের মাষ্টার রোলের বেতনভূক্ত একজন মালিকে দিয়ে সরকারের সেই দামী গাড়ীটি চালানো হচ্ছে। একজন অদক্ষ ভারী লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়ী চালানোর নীতিমালা আছে কি-না তা নিয়ে উপজেলার সুধীজনের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছে। বড় কর্তার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলার কেউ নেই। কেন বা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার সরকারের নিয়োগকৃত ড্রাইভারকে বসিয়ে রেখে তার মালীকে দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছে তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলায় নানা রকম গুঞ্জন চলছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, মহাদেবপুর, বদলগাছী উপজেলায় সংস'াপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদেয় দামী পাজোরো গাড়ীগুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সরকারি কাজকর্ম করার জন্

নওগাঁর মান্দায় বড়ই পাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪ গ্রেফতার ৫

বুধবার নওগাঁর মান্দায় বিরোধীয় জমির উপর অবসি'ত বড়ই গাছ থেকে বড়ই পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলা ও উপর্যপুরি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ২ সহোদর নিহত ও তাদের বাবা, মা সহ ৪ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। জনতা ৫ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার মো: মোফাজ্জেল হোসেন ঘটনাস'ল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের রাঙামাটি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সাথে বেলাল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান- বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বিরোধীয় জমির উপর অবসি'ত একটি বড়ই গাছ থেকে বড়ই পাড়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। এসময় আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল লোক সন্ত্রাসী কায়দায় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ বাবুল হোসেনের বাড়ীতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের উপর্যপুরি আঘাতে ঘটনাস'লেই বাবুল হোসেনের ছেলে চকউলি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুর রশিদ (২৩) নিহত হয়। পরে মারাত্মক আহত অবস'ায় ৫ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় দেলুয়াবাড়ী নামক স'ানে নিহত আব্দুর রশিদের বড় ভাই মানিক হোসে

নদীতে বাঁশরে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার

নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীতে নিষিদ্ধ ঘেরজাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শ্রীমন্তপুর ঘাট থেকে মিঠাপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার নদীতে ৭০ থেকে ৮০টি স্থানে এভাবে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় মত্স্যজীবীরা নদীতে জাল ফেলতে পারছেন না। সরেজমিন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর থেকে এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার মদনচক গ্রামের লোকমান হোসেন, বানডুবি গ্রামের আশরাফ হোসেন, বৈদ্যপুর গ্রামের ফায়েজুল হোসেনসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গোপিনপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, বানডুবি গ্রামের হরেন্দ্রনাথ, কালিকাপুর গ্রামের হারুন, বৈদ্যপুর গ্রামের বারেকুল ইসলাম, গোড়রা গ্রামের আফাজ পিয়াদা, পাঁঠাকাটা গ্রামের বিমলচন্দ্র হাওলাদার, জোতবাজারের প্রদীপ হাওলাদার, পারইল গ্রামের মোজাম্মেল হকসহ মান্দা উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী নদীতে এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। বেশির ভাগ পয়েন্ট

কেমন আছেন গ্রামবাসী?

সাদামাটা চোখে দেখা যায়, বিশ্বের বড় বড় দাতাগোষ্ঠী তথা উন্নত বিশ্ব আমাদের জন্য অনেক কিছুই করছে। সবই আমাদের ভালোর জন্য। কিন্তু সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন জাগে, তারা কি সত্যি সত্যিই আমাদের কিংবা আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশের কল্যাণের জন্য কিছু করে? এ যাবৎকালের অভিজ্ঞতা তো তা বলে না। কতই না প্রতিশ্রুতি শুনি উন্নত বিশ্বের। আমাদের কল্যাণে তারা কতই না ছাড় দেবে? আর এসব কথা শোনা যায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে, যেখানে উন্নত-স্বল্পোন্নত-অনুন্নত সব এক হয়। দরিদ্রদের প্রতি করুণা বর্ষণের প্রশ্নে কারোই তুলনা নেই। এই যে বছরের ৩৬৫ দিনই কোনো না কোনো দিবস পালন হয়, এর মধ্যে কোনোটি এ দেশে উদযাপিত হয়, আবার কোনোটি হয় না। আমার জানা মতে, ৯৮টি আন্তর্জাতিক দিবস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দিবস, যেগুলোর বাতাস এ দেশেও পেঁৗছতে শুরু করেছে। দিবস পালন হোক_ এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, সব দিবস কি আমাদের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে? নিশ্চয়ই নয়। কোনো কোনো দিবসের তাৎপর্য রয়েছে; সব ক'টির নয়। দিবসগুলোতে যেসব বড় বড় বুলি আমরা উন্নত বিশ্ব তথা দাতা সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পাই, দিবস