উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, কৃষিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। চলতি বোরো মৌসুমে পুরোদমে সেচকাজ শুরুর আগেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেচ কাজে ব্যবহৃত শ্যালো পাম্প এমনকি হস্তচালিত নলক‚পগুলোতে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এরইমধ্যে বেশকিছু হস্তচালিত নলক‚প অকেজো হয়ে পড়েছে। পানি কম ওঠায় আরো গভীরে নামানো হচ্ছে শ্যালো পাম্পের পাইপ। পানির স্তর ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে এবার মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নওগাঁ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত বছরের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ও অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রতি বছরই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১ থেকে ২ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে অগভীর সেচ পাম্পগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর গর্তে নামিয়ে সেচ কাজ চালানো হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো পানি না ওঠায় পাম্পগুলো আরো ৫ থেকে ৬ ফুট গভীরে নামানো হচ্ছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বিএডিসি সার্ভেয়ার আবদুল মজিদ জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর গভীর নলক‚পের পানির স্তর প্রায় ২ ফুট নিচে রয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮ ফুট গভীরে।
এদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমির আবাদ সেচ সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার গভীর ও অগভীর নলক‚প দিয়ে ঠিকমতো পানি না ওঠায় অসংখ্য চাষি সেচ সংকটে ভুগছে। বেসরকারি জরিপে জানা গেছে, প্রতি বছর যে পরিমাণ পানি ভূগর্ভস্থ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে, সে পরিমাণ পানি ভূগর্ভে রিচার্জ হচ্ছে না। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী ও খাল-বিলগুলো পানি শূন্য হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরো নিচে নেমে গিয়ে কৃষি উৎপাদন দিন দিন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হচ্ছে ৯৮ শতাংশ। আর একই কাজে নদ-নদী বা ভূউপরিভাগের পানির ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ২ শতাংশ। এভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারে বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুরসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমাদের সময় অবলম্বনে
নওগাঁ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত বছরের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ও অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রতি বছরই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১ থেকে ২ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে অগভীর সেচ পাম্পগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর গর্তে নামিয়ে সেচ কাজ চালানো হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো পানি না ওঠায় পাম্পগুলো আরো ৫ থেকে ৬ ফুট গভীরে নামানো হচ্ছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বিএডিসি সার্ভেয়ার আবদুল মজিদ জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর গভীর নলক‚পের পানির স্তর প্রায় ২ ফুট নিচে রয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮ ফুট গভীরে।
এদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমির আবাদ সেচ সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার গভীর ও অগভীর নলক‚প দিয়ে ঠিকমতো পানি না ওঠায় অসংখ্য চাষি সেচ সংকটে ভুগছে। বেসরকারি জরিপে জানা গেছে, প্রতি বছর যে পরিমাণ পানি ভূগর্ভস্থ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে, সে পরিমাণ পানি ভূগর্ভে রিচার্জ হচ্ছে না। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী ও খাল-বিলগুলো পানি শূন্য হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরো নিচে নেমে গিয়ে কৃষি উৎপাদন দিন দিন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হচ্ছে ৯৮ শতাংশ। আর একই কাজে নদ-নদী বা ভূউপরিভাগের পানির ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ২ শতাংশ। এভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারে বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুরসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমাদের সময় অবলম্বনে