Posts

Showing posts from November, 2008

কাজ নাই বেতন নাই দুবাইতে

দেশে বেকার লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দেশের লোকজন আগের চেয়ে বেশি লোক ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে । বেশির ভাগ লোকজন মধ্যপ্রাচ্রের দেশগুলতে পাড়ি দিচ্ছে । আর এই দৌড়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) । যে হারে বাংলাদেশি দুবাইতে আসিতেছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে দুবাইকে দুবাই না বলে ছোট বাংলাদেশ বলা যাবে । দুবাইতে বেশিভাগ বাংলাদেশির কাজ জোটে নিমার্ণ কোম্পানিতে কাজগুলো অত্যন্ত কষ্ঠের আর সে অনুপাতে পারিশ্রমিক মিলে অনেক কম । আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে একধরনে ভুল ধারনা আছে যে বিদেশে গেলেই শুধু টাকা আর টাকা । তবে সেই ধরনের আশা নিয়ে বিদেশ না আসাই ভাল কারন বর্তমানে যে অবস্থা তাতে নিজের চলাই খুব কঠিন আর তার উপর দেশে করে আসা ঋণের বোঝা এই সব মনে পড়ে যখন কোন লোক প্রবাসে আসে । বর্তমানে দুবাইয়ের সব বড় বড় নির্মাণ কম্পানিতে কর্মী ছাটাই করিতেছে যদি কেউ কাজের জন্য দুবাই আসার ইচ্ছা থাকে তবে আগে কি কাজ তা জেনে নিওয়া ভাল তা না হলে অসীম দূ:খের সাগরে উজ্বল ভবিষ্য ভেসে যাবে ।

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ৪র্থ)

প্র : আপনি যেদিন আবার ফিরে আসলেন নওগাঁ-তে সেটা কয় তারিখ। নওগাঁ থেকে টাকা নিয়ে গেলেন, ওখানে রাখলেন, তারপরে আবার আসলেন কবে? উ : ২২ এপ্রিল তারিখে হবে। নওগাঁ যাওয়ার পথে দেখি যে, আমাদের ছেলেপেলে যারা নওগাঁয় ছিলো তারা সব ইণ্ডিয়ার দিকে যাচ্ছে। আমি তাদের বলি, কি হলো! তোমরা ব্যাক করছ কেন? তারা বললো যে, পাকিস্তান আর্মি নওগাঁতে ঢুকে গেছে। আমি বললাম যে, না, আমি এটা বিশ্বাস করি না। তোমরা চলো আমার সঙ্গে। তখন ঐ যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া মোজাম্মেল হক, সে আমাকে বললো যে, সত্যি পাক আর্মি নওগাঁতে ঢুকে গেছে। ওরা কিছু মান্দা দিয়ে ঢুকেছে আর কিছু বগুড়া থেকে আসছে। সুতরাং তুমি আর ইন করতে পারবে না। এ অবস্থায় আমি বললাম যে, ঠিক আছে, তাহলে তোমরা সবাই চলো আমার সাথে। তারপরে ওদের সবাইকে নিয়ে আমি আবার বালুরঘাটে চলে আসলাম। বালুরঘাটে গিয়ে আমি প্রথমে কংগ্রেস অফিসে গেলাম। ওখানে গিয়ে তাদের বললাম, আমাদের একটা বাড়ি আর একটা জায়গা দেন। ভাড়া নেবো। কারণ এই ছেলেগুলো এদিক ওদিক চলে গেলে আমি পরে আর এদেরকে পাবো না। এরা বিভিন্ন জায়গায় নানা কাজে জড়ায়ে যাবে। তারা সেদিনই আমাদের জন্য দোতলা একটা বাড়ি খুঁজে দিলো। আমরা বাড়িটা ভাড়া নিলাম

ফুটপাতের মুচি থেকে কোটিপতি

বগুড়ার ধুনটে স্খাপন করা এনজিও ‘প্রতিকার’এর পরিচালক রতন রবিদাস এক বছর আগেও ফুটপাতে জুতা মেরামত করতো। আদিবাসী সমিতির সভাপতি হয়ে সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ ও এনজিও খুলে দরিদ্র নারীদের প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। অল্প সময়ে বনে যায় কোটিপতি। বাতিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। তার প্রতারণা ফাঁস হলে সদস্যরা গত মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করে। শত শত নারী-পুরুষ টাকা ফেরত পেতে থানার সামনে অবস্খান নেয়। পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বড় ভাই যতীশসহ তাকে হাজতে চালান দিয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব ফিন্সজ ও নগদ টাকা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করেছে। এসব বিক্রি করে সমিতির সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। পরিচয়: ধুনট উপজেলার মহিশুরা গ্রামের হত দরিদ্র স্বর্গীয় মহর রবিদাসের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে যতীশ বড় ও রতন মেজ। ১৯৭৮ সালে রতন জন্মগ্রহণ করে। পেশায় চর্মকার (মুচি)। নিজস্ব কোন জমিজমা ছিলনা। মহর মুচি ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে মহিশুরা বাজারে কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারের পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারে বাস করতো। ১৯৯১ সালে মহর মারা যাবার পর পরিবারের সদস্যরা বিপাকে পড়ে। স্ত্র

শান্তি নাই দুবাইতে

সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সংঙ্কট আর সেই একই হাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে । দুবাইরে সব ব্যাবসা বাণিজ্য দিন দিন থারাপের দিকে যাচ্ছে। আর এর বেশি বিরুপ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশি প্রবাসি ভাইদের । দুবাইতে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ আমাদের বাংলাদেশি বসবাস করে থাকে ।আর কাজ করে থাকে নিমার্ণ কম্পানিতে । ও হ্যা বাংলাদেশের লোক জন তো জানেই না যে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের বেতন অন্য দেশের প্রবাসিদের চেয়ে কম । কোন নিমার্ণ কম্পানিতে যখন কোন নতুন লোক বাংলাদেশ থেকে আনা হয় প্রথমে তার বেতন ধরা হয় ৬০০ দেরহাম থেকে ৫০০ দেরহাম আর অন্য কোন কাজ যেমন হোটেল বা দোকানের কাজে বেতন ধরে ৮০০ দেরহাম থেকে ১০০০ দেরহাম। যারা কম্পানিতে কাজ করে তাদের বাসা ভাড়া কম্পানি থেকে আর খাওয়া নিজেদের বলুল যেথানে খাদ্য দ্রব্য মূল্য উদ্ধগতি সেখানে সে ৫০০/৬০০ দেরহামে নিজে খাবে না পরিবার পরিজনদের জন্য দেশে টাকা পাঠাবে । বলুল তো সে কি পাবে যে আশায় সে প্রবাসে এসে ছিল তার পরিবার পরিজনদের মায়া ছেড়ে! আর হ্যা আমি তো বলতে ভূলেগেছি কি পরিমান কাজ করিতে হবে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা যা আপনি কোন দিন করেনি ।