Posts

Showing posts from April, 2008

ঐতিহাসিক পাহাড়পুরের এক অজানা অধ্যায়

নবম শতাব্দীর শুরু থেকে কতিপয় বিদেশি রাজা আর দিম্বো নামের কৈবর্ত্য রাজা যে ইতিহাস মুছে দিতে শুরু করেন, ১২০০ শতাব্দীর সেন রাজবংশের শাসন শুরু হলে তা বাস্তব রূপ নেয়। ইতিহাস থেকে হারাতে শুরু করে পাল রাজবংশের বিশ্বখ্যাত সোমপুর বিহারের চিহ্ন। পাল রাজবংশের শাসন আমল থেকে বারবার আক্রমণ আর সেন রাজবংশের বাংলা শাসনামলে বাঙাল সেনাদের আগুন দিয়ে এই বিহার পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার পর থেকে এখানকার ভিক্ষুরা চলে যেতে শুরু করেন। সেন রাজবংশের শাসনামলেই পরিত্যক্ত হয়ে যায় বিশ্বখ্যাত সোমপুর বিহার। যুগ যুগ ধরে এ বিহারের ওপর দিয়ে জমতে থাকা মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের ফলে বয়ে আসা ধুলা-বালিতে বিহারটি ঢাকা পড়ে রূপ নেয় এক বিশাল পাহাড়ের। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তত্কালীন ইংরেজ শাসকরা খনন করে ইতিহাসের সামনে আনেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, যা আজ এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত। এর আগে দিনে দিনে ধুলা আর মাটির স্তর পড়ে, যা সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর বিহার নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। দেশ-বিদেশে হাজারো পর্যটকের কাছে এ পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ঘিরে কৌতূহল অপরিসীম। হিমালয়ের সর্বদক্ষিনে অবস্থিত রাজা দ্বিতী

শুধু জানুয়ারিতেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৪৩৮

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৩২০ জন। মোট ৩২৯টি দুর্ঘটনা এই হতাহতের কারণ। লেবার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক জরিপ প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজস্ব সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার মধ্যে গাড়ির ধাক্কার ঘটনা ১১৮টি, যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ৪৬টি, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গাড়ি উল্টে পড়ার ঘটনা ৪১টি এবং অন্যান্যভাবে পাঁচটি। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, জোর করে ওভারটেক, ফিটনেসহীন গাড়ি ব্যবহার, ট্রাকচালকের মাদকাসক্তি ইত্যাদিকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

নিচের পানির ওপর চাপ কমাতে পারে মরা খাল সংস্কার

দেশের দেড় হাজার খালের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি মরে যাচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি ক্ষেত্রে। সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ পরিবেশগত নানা বিপর্যয়ও দেখা দিচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মরা খালগুলো সংস্কার করা হলে এগুলোর পানি দিয়েই আরও সাড়ে ৭ লাখ একরেরও বেশি জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব। যা ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতাও অনেকটা কমাবে। সরকারি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে খালের সংখ্যা ১৪৭৯টি। এর মধ্যে খরা মৌসুমেও প্রয়োজন অনুপাতে পানি থাকে- এমন খালের সংখ্যা ১৩২টি। বড় নদী কিংবা শাখা নদী থেকে বিল, হাওড়, বাওড় প্রভৃতির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী খাল রয়েছে ২৯৮টি। বাকি খালগুলোর মধ্যে কোনও কোনওটিতে খরা মৌসুমে মাঝে-মধ্যে পানি থাকে; আর অন্যগুলোতে খরা মৌসুমে পানি থাকে না। শুকনা মৌসুমে পানি না থাকা খালগুলোকে 'মরা খাল' (আনফিট) বলছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মরা খালগুলো খনন বা সংস্কার করলে এগুলোর বিলুপ্তি যেমন ঠেকানো যাবে, তেমনি এগুলোর পানির ব্যবহার ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতাও অনেকটা কমাবে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপ-সচি