Posts

Showing posts from 2008

নওগাঁ ৬ আসনে বিএনপি কোন আসন নাই........!

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে রাত সাড়ে ১২ টায় ৬ টি আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুসারে নওগাঁ- ১ (পোরশা-সাপাহার-নিয়ামত পুর) আসনের ১১৬ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের (নৌকা প্রতীক) সাধন চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ১লাখ ৭৭ হাজার ২৫১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপির (ধানের শীষ প্রতীক) ডা: সালেক চৌধূরী পেয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজর ০৮৯ ভোট। এ আসনে বিকল্প ধারার ( কুলা প্রতীক) এর মো: আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ১ হাজার ২৫৪ ভোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র বাংলাদেশের (হাতপাখা প্রতীক) মো: মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৬০ ভোট। এ আসনে না ভোট পড়েছে ৯ শত ১২টি আর বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৯ টি। নওগাঁ-২ (ধামুর হাট- পত্নীতলা) আসনের ৯২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের (নৌকা প্রতীক) এর মো: শহীদুজ্জামান সরকার পেয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপির (ধানের শীষ প্রতীক) মো: সামসুজ্জোহা খান পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭৩২ ভোট। এ আসনে বিকল্প ধারার ( ক্থলা প্রতীক) এর মো: আব্দুর রউফ মান্নান পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৪ ভোট, না ভোট পড়েছে ১ হা

ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিপর্যয়, ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যাহত

ভূমধ্যসাগরের নীচ দিয়ে যাওয়া সাইবার অপটিক ক্যাবল ছিড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। গত ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর একটার দিকে সিসিলি ও তিউনিসিয়ার মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরের তলদেশে অপটিকাল ফাইবারের তৈরি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কেবল ছিড়ে যায়। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ৩০ জানুয়ারী ভূমধ্যসাগরের তলদেশে ঠিক একই জায়গায় ৫টি কেবল ছিড়ে গিয়েছিল। এবারও সেই ৫টি থেকে ২টি ছিড়ে গেছে। অপর ১টি নতুন করে ছিড়েছে। এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের যোগাযোগ রক্ষায় অতিরিক্ত চাপের কারণেই নতুন ক্যাবলটি ছিড়ে যায়। ক্যাবলটির মালিক রিলায়্যান্স গ্লোবালকম। অপর ২টির মালিকানা বেশ কয়েকটি টেলি কমিউনিকেশন সংস্থার হাতে রয়েছে। গত জানুয়ারীতে ৫টি ক্যাবলের একটি ছিড়েছিল জাহাজের নোঙ্গরে লেগে। গোয়েন্দারা এমনই ধারণা করেছিলেন। এবার পরিস্কারভাবে কিছু জানা না গেলেও ভূমিকম্পের ফলে ওই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে টাটা কমিউনিকেশনস। ভারতের ইন্টারনেট পরিসেবার ৮২ শতাংশ, মালদ্বীপে ১০০ শতাংশ ও পাকিস্তানে ৫১ শতাংশ বিপর্যস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের ৬ হাজার ৪শ কোটি ডলারের বিপিও ব

নওগাঁ সদর আসনে হেভিওয়েট পার্থী আব্দুল জলিলের সাথে লড়ছেন চারদলীয় জোটের নবাগত কর্নেল আব্দুল লতিফ খান

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ ৫ (সদর) আসনে মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিলের সাথে লড়ছেন ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী নবাগত লেঃ কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান। বিগত ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আব্দুল জলিলের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বিএনপি’র আলহাজ্ব শামস্ উদ্দিন আহমেদ। ৯১ ও ৯৬ এর নির্বাচনে জয়লাভ করলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে আব্দুল জলিলের কাছে পরাজিত হবার কয়েকমাস পরেই আলহাজ্ব শামস্ উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করলে এই আসনে প্রার্থী সংকটে পড়ে বিএনপি তথা ৪ দলীয় জোট। ২০০৬ সালে বাতিলকৃত নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট এখানে জামায়াত নেতা অ্যাডঃ ইউনুস আলীকে মনোনয়ন দিলেও এবারের নির্বাচনে নওগাঁর ৬টি আসনের কোনটিতেই জামায়াত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদ হাসান সিদ্দিকী, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক সনিসহ বেশ কয়েকজন নওগাঁ সদর আসনে মনোনয়ন চাইলেও ৪ দলীয় জোট থেকে শেষ অবধি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে লেঃ কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খানকে। এই আসনে এখন আব্দুল জলিল ও কর্নেল লতিফ খান সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ করছেন। আব্দুল জলিল ইতোমধ্যেই তিলকপুর, দুবলহাটি, ও বলিহার ইউনি

মোরা একটি ফুলকে বাচাব বলে যুদ্ধ করি

Image

নবম সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ জেলায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন

নওগাঁ-১ (৮ জন) মোঃ আব্দুল নুর বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি মোঃ আব্দুল হান্নান বিকল্প ধারা বাংলাদেশ মোঃ কাইয়ুম উদ্দীন জাতীয় পাটি মোঃ ছালেক চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি মোঃ নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোঃ হামিদুর রহমান ইসলামী ঐক্যজোট সাধন চন্দ্র মজুমদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নওগাঁ-২ (৪ জন) আব্দুর রউফ মান্নান বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এ্যাডঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জাতীয় পাটি মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোঃ সামসুজ্জোহা খান বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি নওগাঁ-৩ (৬ জন) আখতার হামিদ সিদ্দিকী বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি জয়নাল আবেদীন মুকুল বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোঃ আবদুন নাসের চৌধুরী জাতীয় পাটি মোস্তফা সিরাজুদ্দৌলা স্বতন্ত্র সুলতান মামুনুর রশিদ (মামুন) বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নওগাঁ-৪ (৯ জন) আবুল হায়াত মোহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল - বি.এন.পি এস, এম, আব্দুল লতিফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডাঃ এস, এম, ফজলুর রহমান বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি ডাঃ

নতুন ভোটার লিষ্ট নওগাঁয় এবার সোয়া লাখ ভোটার কমেছে

জেলার মোট ভোটার সংখ্যা থেকে নয়া ভোটার তালিকায় ১ লাখ ৯ হাজার ১ শ ১৭ ভোট কমেছে । শুদ্ধ তালিকায় এ সংখ্যা বাদ পড়েছে । ২০০৬ সালে জেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৫১, নয়া ভোটার তালিকায় এ সংখ্যা দ্বাড়ায় ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৪ । এর মধ্য নারী ভোটার কমেছে ৪২ হাজার ১শ ৩৯ এবং পুরুষ রয়েছে ৬৬ হাজার ৯৭৮ । নওগাঁর ৬টি আসনে ভোটার সংখ্যা কমে এসেছে । আসন অনুপাতে জেলায় ভোটার রয়েছে নওগাঁ-১ (সাপাহার পোরশা নিয়ামত পুর) ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩ শ ৩১ এর মধ্য নারী ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৩৮ পুরুষ ১ লাখ ৫১ ৮৯৩ । নওগাঁ- ২ (ধামইরহাট পত্নীতলা) ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৭৩ । নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৯ শ ৪০ পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৩ । নওগাঁ- ৩ (মহাদেবপুর বদলগাছী) ৩ লাখ ১৩ হাজার ১ শ ৩৩ । নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৯ পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪শ ১৪ । নওগাঁ-৪ (মান্দা) ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩ শ ৫৭ । নারী ১ লাখ ২২ হাজার ৪ শ ৮৬ পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৮শ ৭১ । নওগাঁ- ৫ (নওগাঁ সদর) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭শ ৮৯ । নারী ১ লাখ ২৯ হাজার ২ শ ৮৬ পুরুষ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫শ ৩ । নওগাঁ - ৬ (আত্রাই -নারী নগর) ২ লাখ ৩৮ হাজার ১শ ১৫ । নারী ১ লাখ ২২ হাজার ৭শ ২৫ পুরুষ ১ লাখ ১৫ হাজার ৪ শ ২৬ । সং

কাজ নাই বেতন নাই দুবাইতে

দেশে বেকার লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দেশের লোকজন আগের চেয়ে বেশি লোক ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে । বেশির ভাগ লোকজন মধ্যপ্রাচ্রের দেশগুলতে পাড়ি দিচ্ছে । আর এই দৌড়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) । যে হারে বাংলাদেশি দুবাইতে আসিতেছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে দুবাইকে দুবাই না বলে ছোট বাংলাদেশ বলা যাবে । দুবাইতে বেশিভাগ বাংলাদেশির কাজ জোটে নিমার্ণ কোম্পানিতে কাজগুলো অত্যন্ত কষ্ঠের আর সে অনুপাতে পারিশ্রমিক মিলে অনেক কম । আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে একধরনে ভুল ধারনা আছে যে বিদেশে গেলেই শুধু টাকা আর টাকা । তবে সেই ধরনের আশা নিয়ে বিদেশ না আসাই ভাল কারন বর্তমানে যে অবস্থা তাতে নিজের চলাই খুব কঠিন আর তার উপর দেশে করে আসা ঋণের বোঝা এই সব মনে পড়ে যখন কোন লোক প্রবাসে আসে । বর্তমানে দুবাইয়ের সব বড় বড় নির্মাণ কম্পানিতে কর্মী ছাটাই করিতেছে যদি কেউ কাজের জন্য দুবাই আসার ইচ্ছা থাকে তবে আগে কি কাজ তা জেনে নিওয়া ভাল তা না হলে অসীম দূ:খের সাগরে উজ্বল ভবিষ্য ভেসে যাবে ।

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ৪র্থ)

প্র : আপনি যেদিন আবার ফিরে আসলেন নওগাঁ-তে সেটা কয় তারিখ। নওগাঁ থেকে টাকা নিয়ে গেলেন, ওখানে রাখলেন, তারপরে আবার আসলেন কবে? উ : ২২ এপ্রিল তারিখে হবে। নওগাঁ যাওয়ার পথে দেখি যে, আমাদের ছেলেপেলে যারা নওগাঁয় ছিলো তারা সব ইণ্ডিয়ার দিকে যাচ্ছে। আমি তাদের বলি, কি হলো! তোমরা ব্যাক করছ কেন? তারা বললো যে, পাকিস্তান আর্মি নওগাঁতে ঢুকে গেছে। আমি বললাম যে, না, আমি এটা বিশ্বাস করি না। তোমরা চলো আমার সঙ্গে। তখন ঐ যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া মোজাম্মেল হক, সে আমাকে বললো যে, সত্যি পাক আর্মি নওগাঁতে ঢুকে গেছে। ওরা কিছু মান্দা দিয়ে ঢুকেছে আর কিছু বগুড়া থেকে আসছে। সুতরাং তুমি আর ইন করতে পারবে না। এ অবস্থায় আমি বললাম যে, ঠিক আছে, তাহলে তোমরা সবাই চলো আমার সাথে। তারপরে ওদের সবাইকে নিয়ে আমি আবার বালুরঘাটে চলে আসলাম। বালুরঘাটে গিয়ে আমি প্রথমে কংগ্রেস অফিসে গেলাম। ওখানে গিয়ে তাদের বললাম, আমাদের একটা বাড়ি আর একটা জায়গা দেন। ভাড়া নেবো। কারণ এই ছেলেগুলো এদিক ওদিক চলে গেলে আমি পরে আর এদেরকে পাবো না। এরা বিভিন্ন জায়গায় নানা কাজে জড়ায়ে যাবে। তারা সেদিনই আমাদের জন্য দোতলা একটা বাড়ি খুঁজে দিলো। আমরা বাড়িটা ভাড়া নিলাম

ফুটপাতের মুচি থেকে কোটিপতি

বগুড়ার ধুনটে স্খাপন করা এনজিও ‘প্রতিকার’এর পরিচালক রতন রবিদাস এক বছর আগেও ফুটপাতে জুতা মেরামত করতো। আদিবাসী সমিতির সভাপতি হয়ে সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ ও এনজিও খুলে দরিদ্র নারীদের প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। অল্প সময়ে বনে যায় কোটিপতি। বাতিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। তার প্রতারণা ফাঁস হলে সদস্যরা গত মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করে। শত শত নারী-পুরুষ টাকা ফেরত পেতে থানার সামনে অবস্খান নেয়। পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বড় ভাই যতীশসহ তাকে হাজতে চালান দিয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব ফিন্সজ ও নগদ টাকা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করেছে। এসব বিক্রি করে সমিতির সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। পরিচয়: ধুনট উপজেলার মহিশুরা গ্রামের হত দরিদ্র স্বর্গীয় মহর রবিদাসের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে যতীশ বড় ও রতন মেজ। ১৯৭৮ সালে রতন জন্মগ্রহণ করে। পেশায় চর্মকার (মুচি)। নিজস্ব কোন জমিজমা ছিলনা। মহর মুচি ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে মহিশুরা বাজারে কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারের পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারে বাস করতো। ১৯৯১ সালে মহর মারা যাবার পর পরিবারের সদস্যরা বিপাকে পড়ে। স্ত্র

শান্তি নাই দুবাইতে

সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সংঙ্কট আর সেই একই হাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে । দুবাইরে সব ব্যাবসা বাণিজ্য দিন দিন থারাপের দিকে যাচ্ছে। আর এর বেশি বিরুপ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশি প্রবাসি ভাইদের । দুবাইতে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ আমাদের বাংলাদেশি বসবাস করে থাকে ।আর কাজ করে থাকে নিমার্ণ কম্পানিতে । ও হ্যা বাংলাদেশের লোক জন তো জানেই না যে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের বেতন অন্য দেশের প্রবাসিদের চেয়ে কম । কোন নিমার্ণ কম্পানিতে যখন কোন নতুন লোক বাংলাদেশ থেকে আনা হয় প্রথমে তার বেতন ধরা হয় ৬০০ দেরহাম থেকে ৫০০ দেরহাম আর অন্য কোন কাজ যেমন হোটেল বা দোকানের কাজে বেতন ধরে ৮০০ দেরহাম থেকে ১০০০ দেরহাম। যারা কম্পানিতে কাজ করে তাদের বাসা ভাড়া কম্পানি থেকে আর খাওয়া নিজেদের বলুল যেথানে খাদ্য দ্রব্য মূল্য উদ্ধগতি সেখানে সে ৫০০/৬০০ দেরহামে নিজে খাবে না পরিবার পরিজনদের জন্য দেশে টাকা পাঠাবে । বলুল তো সে কি পাবে যে আশায় সে প্রবাসে এসে ছিল তার পরিবার পরিজনদের মায়া ছেড়ে! আর হ্যা আমি তো বলতে ভূলেগেছি কি পরিমান কাজ করিতে হবে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা যা আপনি কোন দিন করেনি ।

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ৩য়)

প্র : বোমা কি বিহারীরা বানাচ্ছিলো? উ : হ্যাঁ, বিহারীরা। তারপরে আমরা কনফার্ম হয়ে গেলাম যে, বিহারীরা হয়তো কোনো ষড়যন্ত্র করছে। এরকম অনেক ঘটনা তখন ঘটেছিলো। এখন সব ভুলে গেছি। যাহোক, তারপর ওদেরকে (বিহারীরা) নিয়ে আমি বসলাম। তাদের বললাম যে, দেখো আমাদের ম্যুভমেন্টের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নাই। এটা পারসোনাল একটা ব্যাপার। ইনসিওরেন্স ক্লেম পাওয়ার আশায় সে এটা করেছে। এটার সঙ্গে আমাদের ম্যুভমেন্টের বা বিহারী বাঙালির কোনো সম্পর্ক নেই। তারপর ঐ ব্যাপারটা তখন মিটে গেলো। তারপর থেকে আমাদের কর্মসূচি বা আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিচ্ছি। ২৬ মার্চের পরে আমরা সংগ্রাম পরিষদের অফিস করলাম কে. ডি. স্কুলে। ওখানে আমরা ২৪ ঘন্টা থাকতাম। আমরা যুবক ছেলেপেলেদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করলাম। ২৬ তারিখে মেজর নজমুল হক বললো যে, রংপুর থেকে বগুড়ার দিকে পাক আর্মি আসছে। ওদের রাস্তায় কোথাও ব্লক করা দরকার। এরপর উনি বললেন যে, আমি কিছু ছেলেকে এক্সপ্লোসিভ ট্রেনিং দেই। আপনি কিছু ছেলে দেন। আমি ট্রেনিং দিয়ে ওখানে পাঠাই। রাস্তায় কোথাও অন্তত: একটা ওবস্ট্রাকশন দিতে পারলে অন্তত ৭ দিন ওরা ওখানে বন্ধ হয়ে থাকবে। ওরা ফারদার ক্লিয়ারেন্স ছাড়া আর ম্যু

মাইক্রোচিপের চেয়েও গতিশীল হিমায়িত চিপ!

আইবিএম এবং দ্য জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি যৌথভাবে একধরনের চিপ আবিষ্কার করেছে, যা অন্য মাইক্রোচিপের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে কাজ করতে পারে। আইবিএম জর্জিয়া টেকের ক্রিয়োজেনিক ল্যাবের গবেষকদের সাথে কাজ করে এমন ঘোষণা দিয়েছে। তারা এর মধ্যেই একটি চিপের ওয়ার্ল্ড সিলিকন স্পিড রেকর্ড করেছেন প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বাইনারি সাইকেল তৈরি করে আর তা কাজ করেছে ৫০০ গিগাহার্টজ মাত্রায়। আশ্চর্যের ব্যাপার, তাপমাত্রা একেবারে শূন্যের কোঠায় পৌঁছানোর পরেই এই অভূতপূর্ব পরিবর্তনটি ঘটেছে। আজকের দিনের কম্পিউটার সাধারণত কাজ করে চার গিগাহার্টেজের প্রসেসরে। এটি কাজে লাগবে কমিউনিকেশনে, যেখানে হাই ফিন্সকোয়েন্সি চিপের প্রয়োজন হয়। রুম টেম্পারেচারে এই চিপ কাজ করতে পারে সাড়ে ৩০০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তবে মাইনাস ৪০০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত ৫১ ফারেনহাইটে এর কার্যক্ষমতা ৫০০ পর্যন্ত ওঠে। তৈরি করা হয়েছে সিলিকন জারমানিয়াম দিয়ে, যা গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের মতো ধাতুর চেয়েও সস্তা। সাধারণ চিপে যেমন একটি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়, এই চিপটিতে দু’টি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা যাবে। চিপ যত ছোট হতে থাকবে, ততই এর কার্যক্ষমতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন গবেষক চার্

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব 2য়)

প্র : এটা কোন সময়? উ : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে। তারপর আমরা নওগাঁ ‘মহকুমা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করলাম। সেই সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হলো। প্র : এই সংগ্রাম পরিষদে আর কারা কারা ছিলেন-তাদের নাম আপনার মনে আছে? উ : হ্যাঁ, সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বায়তুল্লাহ সাহেব। মেম্বার ছিলেন ন্যাপ মোজাফফরের রকিব সাহেব, ন্যাপ ভাসানীর মাজহারুল হক পোনা সাহেব। আমাদের আরো নেতৃবৃন্দ তাতে ছিলেন। এম. এন. এ. এবং এম. পি. রাও ছিলেন। সংগ্রাম পরিষদে আওয়ামী লীগের লোকজন বেশি থাকলেও সেটা সর্বদলীয় ছিলো। প্র : কমিউনিস্ট পার্টির কেউ তাতে ছিলেন কি? উ : তখন কমিউনিস্ট পার্টির তৎপরতা নওগাঁতে ছিলো না। দুই ন্যাপ ছিলো। প্র : ওয়ালী ন্যাপ, ভাসানী ন্যাপ? উ : হ্যাঁ, তখন ওয়ালী ন্যাপ আর ভাসানী ন্যাপের তৎপরতা নওগাঁতে বেশ ছিলো। প্র : নওগাঁ সংগ্রাম কমিটির অফিস কোথায় ছিলো এবং এই সংগ্রাম কমিটির ভূমিকা কি ছিলো? উ : অফিস ছিলো নওগাঁ বার অফিসে, আইনজীবী সমিতির যে বিল্ডিংটা, সেখানে। ওটা ছিলো অফিস। ওখান থেকে গোটা মহকুমার আন্দোলন কর্মকান্ড কো-অর্ডিনেট করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় থানায়, গ্রামেগঞ্জে মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ১)

নাম : মো: আবদুল জলিল পিতা : মরহুম ফয়েজউদ্দীন আহমেদ মাতা : মিসেস জরিনা ফয়েজ গ্রাম/মহল্লা : চকপ্রাণ, পৌরসভা : নওগাঁ বর্তমান মহল্লা : ফয়েজ ভিলা, চকদেব, ওয়ার্ড : চকএনায়েত, পৌরসভা : নওগাঁ, থানা : নওগাঁ, জেলা : নওগাঁ (১৯৭১ সালে রাজশাহী জেলার অন্তর্গত মহকুমা) শিক্ষাগত যোগ্যতা : বি. এ. (অনার্স), এম. এ. (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ১৯৭১ সালে বয়স : ৩২ ১৯৭১ সালে পেশা : ব্যবসা বর্তমান পেশা : ব্যবসা, চেয়ারম্যান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি:, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ প্র : আপনি ছাত্র রাজনীতির সাথে কিভাবে যুক্ত হয়েছিলেন? উ : ছাত্রলীগের মেম্বার হলাম ১৯৫৭ সালে যখন আমি রাজশাহী কলেজে ভর্তি হই। সেই সময় আমি ছাত্রলীগের মেম্বার হলাম এবং রাজশাহী কলেজ ছাত্র-সংসদে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলাম সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে। সেই নির্বাচনে আমি সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হই। অবশ্য ঐ পর্যায়ে আমি রাজশাহী কলেজে বেশিদিন ছিলাম না। এক বছর পর আমি রাজশাহী কলেজ থেকে ফিরে আসলাম এবং নওগাঁ বি. এম. সি. কলেজে ভর্তি হলাম। প্র : বি. এম. সি. কলেজের পুরো নামটা বলবেন কি? উ : বশিরউদ্দীন মেম

ব্যক্তির ভূমিকা বড় করায় মুক্তিযুদ্ধে সাধারণের আত্মদান চাপা পড়েছে

সংবাদটি পড়ে সত্যিই বিষ্মিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে কিছু ব্যক্তির জন্য আমাদের এই বাংলাদেশ পাই নাই বরং আপামোর সবার আত্মত্যাগের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ যার নাম বাংলাদেশ ।তবে কিছু ব্যক্তির অবদান কম নয় ।বর্তমান অবস্থায় সাধারণ ব্যক্তি অবদানের কথা সবাই ভূলে গিয়েছে বাংলার মানুষ। ভূলার কারন আছে ব্যক্তি বিশেষ কে বড় করে দেখা হয় যার কারনে সাধারন ব্যক্তির মহান আত্মত্যাগকে ছোট করে দেখা হয় ( বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ) অবলম্বনে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রমজানের ফাযায়েল ও মাসায়েল ভূমিকা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী ও দয়া এই যে , মানুষের জন্য কিছু দিন ও সময় নির্ধারিত করে দিয়েছেন , যাতে করে আল্লাহর রহমত ও দয়ায় ভরপুর হয়ে যায় । এবং বেশী করে আল্লাহর নৈকট্য ও উচু মর্যাদা অর্জন করা যায় । আমাদের প্রিয় নবী ( সা .) একটি হাদীসে রমজান মাসের এরূপ গুরুত্ব দিয়েছেন যে , আপন জিন্দীগীতে সৎকাজ কর , এবং আল্লাহর রহমতের দ্বারা পরিপূর্ন হও , যার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয় , আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হও । ঐ সকল বরকত ময় সময়ের মধ্যে রমজান মাস একটি পবিত্র মাস , যে মাসে তার বান্দার উপর আল্লাহ তাআলা রোজাকে ফরজ করে দিয়েছেন । যাহা ইসলামের মহান স্তম্ভ সমূহ থেকে একটি স্তম্ভ ( বা রোকোন ) । আহলান সাহলান মাহে রমজান - পবিত্র রমযান মাসের ফজিলত এবং আগমনকে স্বাগতম । রাসুল পাক ( সা .) পবিত্র রমযান মাসের আগমনে সু - সংবাদ দিয়েছেন এবং রমজানের দিনগুলো ও সময়ের মূল্যায়নের দিকে উৎসাহিত করেছেন । অনুরূপ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বৎসরে সকল মাসের তুলনায় পবিত্র রমযান মাসকে বিশেষ ফজিলত ও বৈষিষ্ট দান করেছেন । এই রমযান মাসে লাইলাতুল কদর দান করেছেন । হযরত আবু হুরায়