Posts

Showing posts from August, 2008

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব 2য়)

প্র : এটা কোন সময়? উ : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে। তারপর আমরা নওগাঁ ‘মহকুমা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করলাম। সেই সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হলো। প্র : এই সংগ্রাম পরিষদে আর কারা কারা ছিলেন-তাদের নাম আপনার মনে আছে? উ : হ্যাঁ, সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বায়তুল্লাহ সাহেব। মেম্বার ছিলেন ন্যাপ মোজাফফরের রকিব সাহেব, ন্যাপ ভাসানীর মাজহারুল হক পোনা সাহেব। আমাদের আরো নেতৃবৃন্দ তাতে ছিলেন। এম. এন. এ. এবং এম. পি. রাও ছিলেন। সংগ্রাম পরিষদে আওয়ামী লীগের লোকজন বেশি থাকলেও সেটা সর্বদলীয় ছিলো। প্র : কমিউনিস্ট পার্টির কেউ তাতে ছিলেন কি? উ : তখন কমিউনিস্ট পার্টির তৎপরতা নওগাঁতে ছিলো না। দুই ন্যাপ ছিলো। প্র : ওয়ালী ন্যাপ, ভাসানী ন্যাপ? উ : হ্যাঁ, তখন ওয়ালী ন্যাপ আর ভাসানী ন্যাপের তৎপরতা নওগাঁতে বেশ ছিলো। প্র : নওগাঁ সংগ্রাম কমিটির অফিস কোথায় ছিলো এবং এই সংগ্রাম কমিটির ভূমিকা কি ছিলো? উ : অফিস ছিলো নওগাঁ বার অফিসে, আইনজীবী সমিতির যে বিল্ডিংটা, সেখানে। ওটা ছিলো অফিস। ওখান থেকে গোটা মহকুমার আন্দোলন কর্মকান্ড কো-অর্ডিনেট করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় থানায়, গ্রামেগঞ্জে মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক

এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ১)

নাম : মো: আবদুল জলিল পিতা : মরহুম ফয়েজউদ্দীন আহমেদ মাতা : মিসেস জরিনা ফয়েজ গ্রাম/মহল্লা : চকপ্রাণ, পৌরসভা : নওগাঁ বর্তমান মহল্লা : ফয়েজ ভিলা, চকদেব, ওয়ার্ড : চকএনায়েত, পৌরসভা : নওগাঁ, থানা : নওগাঁ, জেলা : নওগাঁ (১৯৭১ সালে রাজশাহী জেলার অন্তর্গত মহকুমা) শিক্ষাগত যোগ্যতা : বি. এ. (অনার্স), এম. এ. (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ১৯৭১ সালে বয়স : ৩২ ১৯৭১ সালে পেশা : ব্যবসা বর্তমান পেশা : ব্যবসা, চেয়ারম্যান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি:, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ প্র : আপনি ছাত্র রাজনীতির সাথে কিভাবে যুক্ত হয়েছিলেন? উ : ছাত্রলীগের মেম্বার হলাম ১৯৫৭ সালে যখন আমি রাজশাহী কলেজে ভর্তি হই। সেই সময় আমি ছাত্রলীগের মেম্বার হলাম এবং রাজশাহী কলেজ ছাত্র-সংসদে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলাম সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে। সেই নির্বাচনে আমি সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হই। অবশ্য ঐ পর্যায়ে আমি রাজশাহী কলেজে বেশিদিন ছিলাম না। এক বছর পর আমি রাজশাহী কলেজ থেকে ফিরে আসলাম এবং নওগাঁ বি. এম. সি. কলেজে ভর্তি হলাম। প্র : বি. এম. সি. কলেজের পুরো নামটা বলবেন কি? উ : বশিরউদ্দীন মেম

ব্যক্তির ভূমিকা বড় করায় মুক্তিযুদ্ধে সাধারণের আত্মদান চাপা পড়েছে

সংবাদটি পড়ে সত্যিই বিষ্মিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে কিছু ব্যক্তির জন্য আমাদের এই বাংলাদেশ পাই নাই বরং আপামোর সবার আত্মত্যাগের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ যার নাম বাংলাদেশ ।তবে কিছু ব্যক্তির অবদান কম নয় ।বর্তমান অবস্থায় সাধারণ ব্যক্তি অবদানের কথা সবাই ভূলে গিয়েছে বাংলার মানুষ। ভূলার কারন আছে ব্যক্তি বিশেষ কে বড় করে দেখা হয় যার কারনে সাধারন ব্যক্তির মহান আত্মত্যাগকে ছোট করে দেখা হয় ( বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ) অবলম্বনে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রমজানের ফাযায়েল ও মাসায়েল ভূমিকা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী ও দয়া এই যে , মানুষের জন্য কিছু দিন ও সময় নির্ধারিত করে দিয়েছেন , যাতে করে আল্লাহর রহমত ও দয়ায় ভরপুর হয়ে যায় । এবং বেশী করে আল্লাহর নৈকট্য ও উচু মর্যাদা অর্জন করা যায় । আমাদের প্রিয় নবী ( সা .) একটি হাদীসে রমজান মাসের এরূপ গুরুত্ব দিয়েছেন যে , আপন জিন্দীগীতে সৎকাজ কর , এবং আল্লাহর রহমতের দ্বারা পরিপূর্ন হও , যার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয় , আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হও । ঐ সকল বরকত ময় সময়ের মধ্যে রমজান মাস একটি পবিত্র মাস , যে মাসে তার বান্দার উপর আল্লাহ তাআলা রোজাকে ফরজ করে দিয়েছেন । যাহা ইসলামের মহান স্তম্ভ সমূহ থেকে একটি স্তম্ভ ( বা রোকোন ) । আহলান সাহলান মাহে রমজান - পবিত্র রমযান মাসের ফজিলত এবং আগমনকে স্বাগতম । রাসুল পাক ( সা .) পবিত্র রমযান মাসের আগমনে সু - সংবাদ দিয়েছেন এবং রমজানের দিনগুলো ও সময়ের মূল্যায়নের দিকে উৎসাহিত করেছেন । অনুরূপ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বৎসরে সকল মাসের তুলনায় পবিত্র রমযান মাসকে বিশেষ ফজিলত ও বৈষিষ্ট দান করেছেন । এই রমযান মাসে লাইলাতুল কদর দান করেছেন । হযরত আবু হুরায়

কতিপয় হাদিস

হযরত আনাস (রা) থেকে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায় : তার আত্মীয় পরিজন, ধন সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ্) অতঃপর দু'টি ফিরে আসে আর একটি (তার সাথে) থেকে যায় । তার আত্মীয় পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়। (বুখারী ও মুসলিম) হযরত কা'ব ইবন ইয়াদ (রা) থেকে বর্নিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : প্রত্যেক জাতির জন্য একটি ফিতনা (পরীক্ষার বস্তু) আছে । আর আমার উন্মতের ফিতনা হলো সম্পদ (তিরমিজী) হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)থেকে বর্নিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাটাইয়ের (মাদুর) ওপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা তার মুবারক শরীরে চাটাইয়ের দাগ দেখে বললাম, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ ! আমরা যদি আপনার জন্য একটি তোষক বানিয়ে দিতাম ! তিনি বললেন : দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? আমি তো দুনিয়াতে এরুপ একজন মুসাফির, যে গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেওয়া, অতঃপর তা ছেড়ে দিয়ে চলতে শুরু করে (তিরমিজী)