Posts

Showing posts from 2007

বাতাসে লাশের গন্ধ

জেলেপল্লী শরণখোলার বাতাস এখন মাছ নয়, ভারী হয়ে উঠেছে লাশের দুর্গন্ধে। তিন দিন আগে প্রলয়ঙ্করী ঝড় 'সিডর' এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় এ জেলে গ্রামটি। গ্রামের পথে হেঁটে গেলে মনে হবে এ যেন এক মৃত্যুপুরী। চারপাশে শুধু নারী, পুরুষ আর শিশুর মৃতদেহ। ধানক্ষেত আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে পড়ে থাকা লাশগুলো দেখে উদ্ধারকর্মী ও সাংবাদিকরাও চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি। রোববার বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসেছিল খাদ্য, ওষুধ ও পানি নিয়ে। স্থানীয় এক বৃদ্ধ উদ্ধার কর্মীদের কাছে চাইলেন লাশ ঢাকার কাপড়। নদীর তীর থেকে একটি মৃতদেহ তুলে আনার সময় বৃদ্ধ জানালেন, সারাদিন ধরে তারা নদী থেকে লাশ তুলে আনছেন। এই লাশগুলোকে কবর দেওয়ার জন্য কাফনের কাপড় দরকার। গ্রামের অপর এক অধিবাসী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন,স্বজন হারানোর বেদনা অসহনীয়। কিন্তু নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার আর ওষুধ দরকার। বলেশ্বর নদীতে একের পর এক লাশ ভেসে উঠছে বলে জানালেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পানি থেকে তোলা ফুলে ওঠা লাশের গন্ধে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে গেছে। মানুষের লাশ ছাড়াও প্রচুর গবাদিপশুর মৃতদেহ ভাসছে বলেশ্বর ও আশপাশের নদীর বুকে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মনির হ

উপায় আছে হাতের কাছেই

যে কোনো রোগ হলেই আমরা প্রথমেই ছুটে যাই ডাক্তারের কাছে। খাই নানা ওষুধ ও পথ্য। অথচ আমরা একবারও ভেবে দেখি না বিভিন্ন রকমের খাদ্যে যেসব উপাদান আছে তা রোগ প্রতিরোধে কতখানি সহায়ক। আর এসব খাবার নিয়ম করে খেলে ওষুধের কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। কাশি সারাতে তুলসী ও বাসক পাতা অনেক দিন থেকেই কাশির জন্য কষ্ট পাচ্ছেন, চলাফেরা করতে পারছেন না এ ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস করে বাসক গাছের ছাল সিদ্ধ করে রস তৈরি করে মিশিয়ে নিন। দুই চা-চামচ করে দিনে দুই-তিনবার খাবেন। কাশি সম্পূর্ণ সেরে যাবে। এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস, অন্ত্রে ঘা হলে তুলসী পাতার রস খেলে তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে বুকের অথবা গলায় কোনো অসুখ হতে পারে না। তুলসী ম্যালেরিয়ার জীবাণু নাশ করে। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও তুলসীর ক্রিয়া কার্যকরী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যষ্টিমধু, লেবু কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে অনেকেই ডুস ব্যবহার করেন। পারগেটিড কিংবা লারগেটিড খান অনেকেই। অথচ কোষ্ঠ পরিষ্কারের উপায় রয়েছে হাতের কাছেই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যষ্টিমধু, হরিতকী, জায়ফল, বহেরা প্রভৃতি ফল ভেজানো পানি খাবেন। উপকার হবেই। এ ফলগুলো পাবেন বেলের দোকানে। ব্যবহারের আগে অবশ্যই

আমি লাঙ্কাটা ছিলাম ভাল ছিলাম ভাল ছিল শিশুকাল (মনির খানের গান)

জানিনা কিছু তবু জানার ইচ্ছা

আমি কম্পিউটারের কিছু জানিনা তবু অজানা থেকে জানার ইচ্ছা থেকে এই শিক্ষা । আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা এত বেশি নেই । আমি ২০০০ সালে এস এস সি পাশ করি তার পর মান্দা মমিন শাহানা ডিগ্রী কলেজ এইচ এস সি পাশ করি ২০০২ সালে। আবারও মান্দা কলেজে বি এস সি ভর্তি হয় । বি এস সিতে ১ম বত্সর করে ২০০৪ সালের ৩ রা এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরের আজমান ইন্টারনেটে কাজে যোগদান করি । সেই সময় আমি কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু জানিনা আর তার মধ্যে ইন্টানেট তো কিছুই নয় । আর সেই অজানা থেকে এত দূর আসা ।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা

গণতন্ত্র শব্দটির তাৎপর্য সবার কাছে সমার্থক নয়। কারো কাছে গণতন্ত্র্র সম্ভবত দায়িত্বের সঙ্গে স্বাধীনভাবে নির্ধারণের অধিকার। অন্যদের কাছে গণতন্ত্র হলো কোন সংযম, দায়বদ্ধতা বা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া কাজ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যতিরেকে অর্জিত ক্ষমতার ব্যবহার। মর্মার্থের এই ভিন্নতা আমাদের সবার জন্য রাজনীতি এবং রাজনৈতিক আচরণের পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে গণতন্ত্রের গতি-প্রকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আজ আমরা আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ মোহনায় দণ্ডায়মান। আমরা এমন সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যেগুলো মোকাবিলা ও অতিক্রম করতে হবে।আমাদের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে চার্লস ডিকেন্সের দুনগরীর গল্পের উপমার কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ফরাসী বিপ্লবের সময় তিনি প্যারিসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমি আজ উল্লেখ করছি ঢাকার কথা। আমি দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের বিবর্তন ও উত্থান প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখা থেকে বেশ কিছুদিন নিবৃত্ত ছিলাম। আর তা করেছি সচেতনভাবেই। আমি একজন আগ্রহী পর্যবেক্ষক। আমি রাজনৈতিক জোট এবং দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যক্ষ করেছি। আমি বছরের শুরুতে সূচিত ঝড়ের তীব্রতা প্রত্যক্ষ করেছি,

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা

গণতন্ত্র শব্দটির তাৎপর্য সবার কাছে সমার্থক নয়। কারো কাছে গণতন্ত্র্র সম্ভবত দায়িত্বের সঙ্গে স্বাধীনভাবে নির্ধারণের অধিকার। অন্যদের কাছে গণতন্ত্র হলো কোন সংযম, দায়বদ্ধতা বা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া কাজ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যতিরেকে অর্জিত ক্ষমতার ব্যবহার। মর্মার্থের এই ভিন্নতা আমাদের সবার জন্য রাজনীতি এবং রাজনৈতিক আচরণের পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে গণতন্ত্রের গতি-প্রকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আজ আমরা আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ মোহনায় দণ্ডায়মান। আমরা এমন সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যেগুলো মোকাবিলা ও অতিক্রম করতে হবে।আমাদের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে চার্লস ডিকেন্সের দুনগরীর গল্পের উপমার কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ফরাসী বিপ্লবের সময় তিনি প্যারিসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমি আজ উল্লেখ করছি ঢাকার কথা। আমি দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের বিবর্তন ও উত্থান প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখা থেকে বেশ কিছুদিন নিবৃত্ত ছিলাম। আর তা করেছি সচেতনভাবেই। আমি একজন আগ্রহী পর্যবেক্ষক। আমি রাজনৈতিক জোট এবং দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যক্ষ করেছি। আমি বছরের শুরুতে সূচিত ঝড়ের তীব্রতা প্রত্যক্ষ করেছি,

গানের 'কর্তা' শচীন দেব বর্মন

সদ্য সুর করা গান গাইছেন তরুণ সঙ্গীতপরিচালক। সুরের সমস্ত লালিত্য ঢেলে গান শেষ করলেন, তাকালেন আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রোতা, ফিল্মিস্তানের কর্ণধার এস. মুখার্জীর দিকে। এস. মুখার্জী শুধু শ্রোতা নন, বিচারকও। কেননা তার রায় পেলেই মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটা হিল্লে হয়ে যেতে পারে কোলকাতা থেকে আসা সঙ্গীত পরিচালকের। কিন্তু এস মুখার্জী গান শুনলে তো! তিনি তো নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছেন! পরের দিন আবার হারমোনিয়াম নিয়ে বসা হলো। শুরু হলো গান। শেষও হলো। গায়ক তার কাজ শেষ করে যথারীতি তাকালেন শ্রোতাদের দিকে। সেই লোক রীতিমতো হুইসেল বাজিয়ে ঘুমাচ্ছেন। এভাবে চললো পাক্কা দু'মাস। প্রযোজকের গান শোনা হয়না, মুম্বাইতে (তখনকার বোম্বে) কাজও শুরু করা হয় না সঙ্গীত পরিচালকের। তো একদিন রুটিনমাফিক গান শেষ করে হতাশ গায়ক ভাবছেন," এখানে আর নয়। ফিরে যাবো কোলকাতায়। যা হয় হবে ..." অমনি ভাবনায় ছেদ টেনে এস মুখার্জী বলে উঠলেন,"গানটা রেকর্ড করিয়ে ফেলুন না।" নিজের কানকে বিশ্বাস করতে না পেরে গায়ক জানতে চাইলেন,"আমাকে কিছু বললেন?" জবাব এলো," হ্যাঁ, আপনার এ গান আমার খুব পছন্দ হয়েছে। রেকর্ড করিয়ে ফে

কথা ও হাসি

ছাএ ও শিক্ষকের মধ্যে কথোপকথন ১ম দিনস্যার : কি খাচ্ছ?ছাএ : আইসক্রিম ।স্যার : আইসক্রিম খাওয়া ভালো নয়, আইসক্রিমে কেমিক্যাল থাকে ।২য় দিনস্যার : পড়, ‘ঘুষ খাওয়া ভালো নয়’ছাএ : কেন স্যার? ঘুষেও কি বিষাক্ত কেমিক্যাল থাকে? [সূএ: দৈনিক আমার দেশ ] একযুবক তার কিশোরী ছাত্রীকে ব্যাকরণ পড়াতে পড়াতে জিগ্যেস করেন , সুমি এবারে এমন একটা বাক্যের উদাহরণ দাও , যাতে বর্তমান , অতীত ও ভবিষ্যৎ তিন কালই থাকছে । ছাত্রীর উদাহরণ প্রদান , গত ভ্যালেনটাইন ডে থেকে তোমাকে আমি ভালবাসাতাম , আজও বাসি , ভবিষৎতেও বাসবো। ও বুড়িমা তোমার বয়স কত হলো এই বছর কুড়ি হলো ।বল কি ? মাএ কুড়ি !হ্যাঁ , বাপ ! ওর বেশি আমি যে গুনতে পারি না । একজন সাংবাদিক একজন টহল পুলিশের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। আপনি ঘুষ খান ?খাই।রাতে রাস্তায় যে মেয়েরা ঘোরাফেরা করে তাদের ব্যবহার করেন ?মাঝে মাঝে তো করতেই হয়। রাজনীতি করেন ? না অতটা খারাপ এখনো হইনি। বই পড়ুয়া স্বামীকে কটাক্ষ করছেন স্ত্রী-স্ত্রী : তোমার বই পড়ার বাতিক দেখে মাঝেমধ্যে মনে হয় আমি বউ না হয়ে বই হলেই ভালো হতো! সারাক্ষণ হাতে নিয়ে পড়তে।স্বামী : বই না হয়ে ক্যালেন্ডার হলে আরো বেশি ভালো হতো!...প্রত্যেক বছরই পাল্টাতে