উপায় আছে হাতের কাছেই

যে কোনো রোগ হলেই আমরা প্রথমেই ছুটে যাই ডাক্তারের কাছে। খাই নানা ওষুধ ও পথ্য। অথচ আমরা একবারও ভেবে দেখি না বিভিন্ন রকমের খাদ্যে যেসব উপাদান আছে তা রোগ প্রতিরোধে কতখানি সহায়ক। আর এসব খাবার নিয়ম করে খেলে ওষুধের কোনো প্রয়োজনই পড়ে না।

কাশি সারাতে তুলসী ও বাসক পাতা

অনেক দিন থেকেই কাশির জন্য কষ্ট পাচ্ছেন, চলাফেরা করতে পারছেন না এ ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস করে বাসক গাছের ছাল সিদ্ধ করে রস তৈরি করে মিশিয়ে নিন। দুই চা-চামচ করে দিনে দুই-তিনবার খাবেন। কাশি সম্পূর্ণ সেরে যাবে। এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস, অন্ত্রে ঘা হলে তুলসী পাতার রস খেলে তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে বুকের অথবা গলায় কোনো অসুখ হতে পারে না। তুলসী ম্যালেরিয়ার জীবাণু নাশ করে। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও তুলসীর ক্রিয়া কার্যকরী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যষ্টিমধু, লেবু

কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে অনেকেই ডুস ব্যবহার করেন। পারগেটিড কিংবা লারগেটিড খান অনেকেই। অথচ কোষ্ঠ পরিষ্কারের উপায় রয়েছে হাতের কাছেই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যষ্টিমধু, হরিতকী, জায়ফল, বহেরা প্রভৃতি ফল ভেজানো পানি খাবেন। উপকার হবেই। এ ফলগুলো পাবেন বেলের দোকানে। ব্যবহারের আগে অবশ্যই পানিতে ধুয়ে, শিলপাটায় একটু থেঁতো করে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন বিকেলে। পরদিন সকালে খালি পেটে খাবেন। এ ছাড়া এক দিন সকালে বাসি পেটে ১ গ্লাস পানিতে রস মিশিয়ে খাবেন।

পুষ্টিহীনতা রোধে ছোলা
প্রোটিনের অভাব হলেই দেখা দেয় পুষ্টিহীনতা। শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন না মিটলে বল, বৃদ্ধি দুই-ই ব্যাহত হয়। প্রোটিনের অভাবজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয় আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিশু। এ রোগ সারাতে দেশি-বিদেশি দুই রকম ওষুধই রয়েছে। কেনার সামর্থ্য থাকে না অনেকেরই। এ রোগকে বলা হয় কোয়ার্সি কোয়াড। ছোলার ছাতু, ছোলা ভেজানো এবং নিয়মিতভাবে ছোলার তরকারি রান্না করে খেলে পুষ্টিহীনতা রোধ করা যায় অনায়েসেই। ট্রপিক্যাল কুল অব মেডিসিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ সম্পর্কে সুফল পাওয়া গেছে।


ছিমছাম দেহের অধিকারী হতে হলে শাক
ছিমছাম দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য আজকাল নারীরা অনেকেই ব্যস্ত। শরীরের বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলার জন্য তারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন নানা উপায়। ডায়েট কন্ট্রোল করেও পাচ্ছে না কোনো সুফল। অথচ এর উপায় রয়েছে হাতের নাগালেই। দুবেলা ভাতের সঙ্গে ১ বাটি পালং শাক অথবা নটেশাক খাবেন নিয়মিত। মাসখানেক পর দেখবেন আকাঙ্ক্ষিত ফল। সব সময় এ শাক পাওয়া না গেলে অন্যান্য শাক খাবেন। শাক খাওয়ার আরও কিছু ভালো ফল হলো এতে শরীরের ওজন কমায়। নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। মাথার চুল ওঠা বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে দেহের শ্রী বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।

তথ্য সুএ: দৈনিক ডেসটিনি

Popular posts from this blog

“নওগাঁয় মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা”

নওগাঁয় পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে,মেলায় অবৈধ ব্যাবসা

দূর্নীতি ছেয়ে আছে নওগাঁ বিটিআরএ