Posts

Showing posts from January, 2009

একজন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের সাক্ষাত্কার শেষ পর্ব

প্র : এটা কোন্‌ মাসের দিকে? উ : এটা অগাস্টের দিকে হবে। সেদিন ওখানে প্রায় ২০/২৫ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিলো। যারা মুক্তিযুদ্ধে এসেছিলো বা যারা শরণার্থী ছিলো তারা সবাই খবর পেয়ে জমায়েত হয়েছিলো ওখানে। প্র : সভা স্থল কোথায় ছিলো? উ : এটা বালুরঘাট শহরে। ওখানে ঐ মিটিংয়েই লোকজন চারিদিক থেকে আমার পক্ষে স্লোগান এবং আমার বিপক্ষে যারা অভিযোগ করেছিলো তাদের ধিক্কার দিয়ে স্লোগান দিয়েছিলো। তখন ওখানেই ‘উত্তরবঙ্গ মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’ হলো। ওনারাই সেটা করে দিয়ে গেলেন। আমাকে তাঁরা এই কমিটির কনভেনর করে দিয়ে গেলেন আর বাকি ছয়জনকে কমিটির মেম্বার করে দিলেন। এই ছয়জনের মধ্যে ঐ যে অভিযোগ যারা করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে চারজন এম.পি.ও ছিলেন। সাত সদস্য বিশিষ্ট একটা কমিটি ওনারা করে দিয়ে গেলেন। এই কমিটি পরবর্তীকালে ঐ এলাকার যাবতীয় কাজ কো-অর্ডিনেট করেছে। ঐ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অফিসিয়াল কো-অর্ডিনেশনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার থেকে পরে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। পরবর্তীকালে নানা ধরনের বিরোধিতার পরও আমি যেটা বলবো, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরপেক্ষ সমর্থনটা, সহযোগিতাটা আমি বেশি পে

নওগাঁর ৫ উপজেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট নানা রোগে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ হুমকির মুখে

স্বাধীনতার তিনযুগ অতিক্রান্ত হলেও নওগাঁ জেলার ৫টি উপজেলার বেশকিছু গ্রামের হাজার হাজার মানুষের মৌলিক চাহিদা খাবার পানির কোনো সুব্যবস্থা আজো হয়নি। ফলে একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিকতার দিনেও এসব গ্রামের অধিবাসীদের খোলা কূপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে জীবনধারণ করতে হচ্ছে। পরে কয়েকটি গ্রামে সুপেয় পানীয় জল সরবরাহ চালু হলেও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এ সব গ্রামের অধিবাসীদের প্রয়োজনের তাগিদে এখনো মাঝে মধ্যেই খোলা কূপের পানি ব্যবহার করতে হয়। বরেন্দ্রভূমি খ্যাত নওগাঁ জেলার পোরশা, সাপাহার, পতœীতলা, ধামুরহাট ও নিয়ামতপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতির গঠনগত কারণে এসব জেলায় পানির স্তর খুব নিচে। ফলে অনেক গ্রামেই কোনো অগভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এসব গ্রামে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হলে গভীর নলকূপের সাহায্য গ্রহণ অত্যাবশ্যক। অবশ্য এসব উপজেলার কিছু কিছু গ্রামে ১২০ থেকে ১৫০ ফুট গভীরতায় কূপ খনন করে খাবার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৮৫ সালের আগে এসব বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষজন তাদের নৈমিত্তিক কাজে ব্যবহারের জন্য এলাকার বিভিন্ন নোংরা ও অগভীর পুকুর ও ডোবার উপরেই নির্ভরশীল ছিল

ডায়াবেটিস মেলাইটাস (Diabetes Mellitus)

আমাদের দেশে বর্তমানে বহুলোক ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত| কিন্তু কিছুদিন আগে সচেতনতার অভাবে অনেকে এ রোগের নাম শুনলে ভয়ে আঁতকে উঠতেন| কিন্তু বর্তমানে গণ-সচেতনতার ফলে এ রোগে সম্পর্কে কম-বেশী সকলেই অবহিত| ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র হলো এমন এক ধরনের রোগ যাতে শরীরের শর্করা জাতীয় খাদ্য হজম হয়ে Glucose এ - পরিণত হয়| তা শরীরে শোষণ বা Absorb না হয়ে, প্রস্রাবের সঙ্গে অধিকাংশ বের হয়ে আসে, একে মূলত ডায়াবেটিস মেলাইটাস বলে| আমাদের রক্তের মধ্যে গ্লুকোজ থাকে| খাবার বেশি খেলে রক্তে গ্লুকোজ বাড়ে| আমাদের শরীরে একটি গ্লান্ড বা গ্রন্থি রয়েছে, যার নাম Pancreas| এই Pancreas বা অগ্নাশয়ের ভিতরে একটি কোষ বা Cell আছে, যার নাম Islets of Langerhans (আইলেটস্ অফ ল্যাঙ্গারহ্যানস্)| এই Islets of Langerhans থেকে Insulin নামক এক প্রকার রস বের হয়| এই Insulin এর জন্যই শরীরে ঠিকমতো গ্লুকোজ শোষিত হয়| এই Cell বা কোষগুলির কর্মক্ষমতার অভাব হলে Insulin নি:সরণ কম হয় এবং যার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি পায়| ডায়াবেটিস মেলাইটাস ২ ধরণের হয় : Type I Type II কারনসমুহঃ ডায়াবেটিসের একদম প্রতিষ্ঠ

কি দোষ ছিল এদের

Image

আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠির জীবন চিত্র

কৃষি নির্ভর নওগাঁ জেলার কৃষিকাজের মূল শক্তি নওগাঁর আদিবাসী জন গোষ্ঠি। এই আদিবাসীরাই নওগাঁর সিংহভাগ কৃষিকাজ করে থাকে। নওগাঁ জেলার আদিবাসীরা জেলার উন্নয়ন, সমাজ ও সাংস্কৃতির এক বিরাট অংশ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু সমাজের নিস্পেষন আর বঞ্চনার স্বীকার হয়ে আদিবাসীরা আজ নিজেদের অস্থিত্ব নিয়ে হুমকির সম্মূখিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের কিছু লেখক উপজাতি আর আদিবাসীদের এক করে ফেলেছেন। কিন্তু সংগাগত ভাবেই আদিবাসী আর উপজাতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আদিবাসীদের ইংরেজীতে বলা হয় Aborigines আর উপজাতিদের বলা হয় Tribe। Encyclopedia থেকে এ দুটি প্রতিশব্দ অনুসারে পাওয়া যায় Aborigines হলো In modern times the term ''Aborigines" has been extended in signification, and is used to indicate the inhabitants found in a country at its first discovery, in contradistinction to colonies or new races, the time of whose introduction into the country is known আর Tribe হলো Its ethnological meaning has come to be any aggregate of families or small communities which are groped together under one chief or leader, observing