Posts

Showing posts from March, 2009

কনফ্লিকার ওয়ার্ম আগামী কাল আঘাত হানতে পারে

কম্পিউটার ভাইরাস বা ওয়ার্ম লেখকদের এপ্রিলের প্রথম দিনটা বেশ প্রিয়। এই দিনে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের বোকা বানিয়ে ভাইরাস ছড়াতে তারা বড্ড পছন্দ করে। কাল ১ এপ্রিল একটি শক্তিশালী ওয়ার্ম আক্রমণ করবে বলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এর নাম ‘কনফ্লিকার সি’। ২০০৮ সালে এই ওয়ার্মটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ লাখ কম্পিউটারে আঘাত হেনেছিল। এবার এটি আরও শক্তিশালী। কনফ্লিকার সি ওয়ার্মটি আপনার কম্পিউটারে হয়তো ইতিমধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে। কিন্তু সক্রিয় হবে গ্রিনিচমান সময় আজ রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে (১ এপ্রিল)। এটি মুহুর্তের মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কে থাকা অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে তথ্য পাচারে দারুণ দক্ষতা দেখায়। শুধু তথ্য পাচারেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ডাইভের সব তথ্য মুছে দিতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটারে থাকা অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারটিকেও নিষ্কিত্র্নয় করে দিতে পারে। ওয়ার্মটির মূল নাম ‘কনফ্লিকার সি’ হলেও বিভিন্ন অ্যান্টি ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন নামকরণ করেছে। বিট ডিফেন্ডার এর নাম দিয়েছে Trojan.downloader.SLIW,ম্যাক্যাফি−W32/Confl

ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২৫ মার্চের কালোরাত আজ

ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২৫ মার্চের কালোরাত আজ। ৩৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের আজকের রাতে বাংলার নিরীহ মানুষের ওপর নির্মম ও পাশবিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনার দল। নিশুতি আঁধারে পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাজধানী ঢাকার নিরীহ-নিরস্ত্র-অসহায় মানুষের ওপর। অপারেশন সার্চলাইট নামের ওই বর্বরোচিত হামলায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে দেখেছিল উন্মত্ত পাকবাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা। মধ্যযুগীয় কায়দায় হানাদাররা রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকা শহরে চালায় হত্যাযজ্ঞ এবং অগ্নিসংযোগ। মেশিনগান-মর্টার-ট্যাংক দিয়ে হানাদাররা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল অন্তত ৫০ হাজার ঘুমন্ত মানুষকে। হত্যাযজ্ঞ চলেছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। ইয়াহিয়ার সেনাবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, শিক্ষক কলোনি, পুলিশ-ইপিআর ব্যারাক, আবাসিক এলাকা ও বস্তিতে বর্বর আক্রমণ চালিয়ে শুরু করেছিল নয় মাসব্যাপী ইতিহাসের নজিরবিহীন গণহত্যা, অত্যাচার, নিপীড়ন, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ। বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করতে উৎসবে মেতে ছিল হায়নার দল। ওই রাতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধ

সূরা এখলাসের বরকতগুলো

হযরত আনাস (রা•) থেকে বর্ণিত- জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা•)-এর কাছে এসে আরজ করল, আমি এই সূরাটি খবু ভালোবাসি। তিনি বললেন, ‘এর ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে।’ হযরত আবু হোরায়রা (রা•) বর্ণনা করেন- একবার রাসূলুল্লাহ (সা•) বললেন, ‘তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শুনাবো।’ অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল, তারা একত্রিত হয়ে গেলে তিনি সূরা এখলাস পাঠ করে শুনালেন। তারপর বললেন, ‘এ সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ বর্ণনায় বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়।’ ওকবা ইবনে আমের (রা•)-এর বর্ণনা মতে- রাসূলুল্লাহ (সা•) বলেন, ‘আমি তোমাদের এমন তিনটি সূরার কথা বলছি, যা তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ ঘুমাতে যাবে না যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর।’ ওকবা (রা•) বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনও এ আমল ছাড়িনি। সূরা এখলাসের বঙ্গানুবাদ হচ্ছে- (১) বলুন, তিনি আল্লাহ, এক (২) আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেনন

নওগাঁয় জেলা দায়রা জজকে জেএমবি ক্যাডাররা উড়িয়ে দেয়ার হুমকি, রেড এলার্ট জারী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ মো: হাবিবুর রহমানকে জেএমবির ক্যাডাররা টেলিফোনে পর পর দুইবার উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হবার পর আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আদালতের সবকটি এজলাসের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে রেড এলাট জারি করে আদালত চত্বরের এজলাস গুলো, জেলা প্রসাশন অফিস চত্বরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রায় ২ ঘন্টা পর আবার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আদালতের প্রবেশ মুখে তল্লাশী অভিযান সহ আদালত চত্বর, বার-এ্যাসোসিয়েশন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো: হাবিবুর রহমানকে অজ্ঞাত স্থান থেকে জেএমবির ক্যাডাররা অফিসের টেলিফোনে পর পর দুইবার হুমকি দেয়। এ সময় টেলিফোনে জঙ্গীরা বলে, "আপনি এজলাসে বসবেন না, যদি আদালতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহলে, আদালত উড়িয়ে দেয়া হবে। আপনার চারপাশে জঙ্গীরা অবস্থান নিয়েছে, আপনি আর ফিরে যেতে পারবেন না।" কথা বলার পাশাপাশি জেলা দায়রা জজ বারবার তাদের