Posts

Showing posts from February, 2009

জীবনানন্দ দাশের কবিতা

সুদর্শনা একদিন ম্লান হেসে আমি তোমার মতন এক মহিলার কাছে যুগের সঞ্চিত পণ্যের লীন হতে গিয়ে অগ্নিপরিধির মাঝে সহসা দাড়িয়ে শুনেছি কিণ্নর কন্ঠ দেবদারু গাছ, দেখেছি অমৃতসূর্য আছে। সবচেয়ে আকাশ নক্ষত্র ঘাস চন্দ্রমল্লিকার রা‍‍‍‌‌‌‌‌ত্রি ভালো; তবুও সময়ে স্থির নয়; আরেক গভীরতর তোমার বলয়। এই পৃথিবীর ভালো পরিচিত রোদের মতন তোমার শরীর; তুমি দান করনি তো; সময় তোমাকে সব দান করে মৃতদার বলে সুদর্শনা, তুমি আজ মৃত । আকাশলীনা সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি, বোলো নাকো কথা এই যুবকের সাথে কথা; ফিরে এসো সুরঞ্জনা নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে – আরো দূরে যুবকের সাথে তুমি যেয়ো নাকো আর । কী কথা তাহার সাথে ? তার সাথে ! আকাশ আড়ালে আকাশে মৃত্তিকার মতো তুমি আজ তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে । সুরঞ্জনা, তোমার হৃদয়ে আজ ঘাস বাতাসের ওপারে বাতাস আকাশের ওপারে আকাশ ।

বনলতা সেন

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃখিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ঘুরেছি আম; আরো দুর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে; আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন। চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে;বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল; পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল; সব পাখি ঘরে আসে-সব-নদী-ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন । জীবনানন্দ দাশ

মুজিব কোটের ছাঁয়ায় নওগাঁর ভবিষৎ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে চলছে

মুজিব কোটের কালো ছায়ায় দিন দিন নওগাঁর বিভিন্ন অফিস আদালতের কাজ কর্ম ঢাকা পড়তে শুরু করেছে। শক্ত হাতে এ ছায়ার প্রসার রোধ করতে না পারলে নওগাঁয় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্খিতির অবনতি ঘটবে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন ও ২২ জানুয়ারীর উপজেলা নির্বাচনে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের ব্যাপক বিজয়ের পর নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগি রাজনৈতিক ব্যবসায়ী রাতারাতি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে সফেদ পাঞ্জাবির উপর রংচটা কালো মুজিব কোট পড়ে বিভিন্ন অফিস আদালতে খবরদারি শুরু করে। এরা বিভিন্ন থানা ও উপজেলা অফিসে গিয়ে নিয়মনীতি বহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন কাজের তদবির করায় থানার পুলিশ পরিদর্শক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গন সরকারি কাজে বিড়ম্বনার সম্মূখিন হচ্ছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য দু-একটি উপজেলায় পুলিশ পরিদর্শক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গন এদের পাত্তা না দেওয়ায় এরা তাদের শাস্তিযোগ্য বদলির হুমকি দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয় লাভের পরই জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা বহুল আলোচিত নিয়ামতপুরের ভাবিচা ইউনিয়নের নাকইল গ্রামের

আরব আমিরাতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাত্তা এলাকায় একটি কোম্পানিতে প্রায় ৫শ’ বাংলাদেশী শ্রমিক ৫-৬ মাস ধরে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব শ্রমিক সহায়-সম্বল ভিটেমাটি বিক্রি ও ধার-দেনা করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় করে দালাল ও বিভিন্ন ট্রাভেলসের মাধ্যমে ৫-৬ মাস আগে আরব আমিরাতের হাত্তা এলাকায় ট্রান্স গালফ নামে একটি কোম্পানিতে চাকরির ভিসা নিয়ে আসে। আসার পর থেকে কাজকর্ম ও বেতনাদি পাওয়া তো দূরের কথা ঠিকমতো খাবারও মিলছে না তাদের। অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে ইতিমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে নেয়া হয় না কোন খোঁজখবর। মাত্র কয়েকটি কক্ষের মধ্যে সবাইকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। পাক করে খাবে নেই পানি ও চুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এ যেন মরুভ‚মির মধ্যে বনবাসের মতো। তাদের করুণ অবস্থায় কঠিন মনের মানুষের চোখেও পানি না এসে উপায় নেই। এসব শ্রমিকের এখন একটাই দাবি দেশে পাঠিয়ে দেয়া। এজন্য তারা বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করেও কোন পাত্তা পাচ্ছে না। নেয়া হচ্ছে না তাদের খোঁজখবর। তাদের অতি শিগগির দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে এসব শ্রমিকের করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে বাংলা