মান্দার ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের মানবেতর জীবন
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্রাসাটি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশা ও মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যতম সংগঠক মরহুম হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব ফারাজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব অহির উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আছির উদ্দিন ও প্রতিষ্ঠানের সুপার হায়দার আলী জোয়াদ্দারসহ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের উদ্যোগ ও সহযোগীতায় বিগত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এবতেদায়ী ১ম থেকে এবতেদায়ী ৫ম শ্রেণী পর্যনৱ পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে দাখিল শ্রেণী পর্যনৱ উন্নীত করে ২০০১ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০০৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। অন্য সকল প্রাচীন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলেও এটি এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি। এছাড়া বিগত সরকারের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের পরে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাও এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন' কি কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত হয়নি তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন্। তাছাড়া ওই ইনায়েতপুর জোয়াদ্দার পাড়ার হারিকেনের আলোয় পড়-য়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছে। তাদের মধ্যে ডক্টরেট ডিগ্রী ধারী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারও রয়েছে। তারপরেও উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেষ্টিত এই মাদরাসাটি বিভিন্ন সময়ে এমপিওভুক্তির আশ্বাস পেলেও এমপিওভূক্ত হয়নি।
মাদরাসার সুপার হায়দার আলী সাংবাদিককে জানান, মান্দা উপজেলার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্রাসাটি মৃত হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দারসহ অনেকের সু-পরামর্শে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই আমিসহ শহিদুল, আজাহার, আঃ ছামাদসহ অনেকেই সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সহিত যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বেতন না হওয়ার কারনে জীবন চালনোর তাগিদে অনেকেই চাকুরী ছেড়ে কেউবা ঢাকায় গারমেন্টেসে, কেউবা বিদেশে আবার কেউবা রাজমিস্ত্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ১৪জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছে। অনেকেই চলে গেলেও আমরা নিজেরাই প্রতিষ্ঠানটি অনেক পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেছি তাই এখনও হাল ছাড়িনি। আমরা জানি কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে একদিন না একদিন আলোর মুখ দেখবেই। আর সেই অপেক্ষাই প্রায় ২০ বছর ধরে প্রহর গুনছি। বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে। মাদ্রাসাটির পড়াশুনার মান, ছাত্র-ছাত্রীসহ সার্বিক বিষয় অত্যনৱ ভাল এবং পাসের হারও সনেৱাষজনক। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের কোনো বেতনভাতা দেয়া হয় না, প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য খরচ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিসহ বিভিন্ন সুধীজনের অনুদানে চলে। দীর্ঘদিন থেকে বেতনভাতা না পেয়ে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তবুও আশায় আছি যদি বর্তমান সরকার আমাদের দিকে তাকায়।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি গোটগাড়ী শহিদ মামুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আখতারুজ্জামান জানান, বাবা মরহুম হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দার অনেক কষ্ট করে এলাকার শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে মৃত্যুর আগের মুহুর্ত পর্যনৱ চেষ্টা করেছেন তবুও বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিকুলতার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় উন্নয়নের চাকা ঘুরানোসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি করার জন্য সরকার বাহাদুরের কৃপাদৃষ্টি আকর্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দিকে সু-দৃষ্টি দেন তাহলে অত্র এলাকার বহু ছেলে-মেয়েসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বেকারত্বের ঘানি টানা থেকে মুক্তি পাবে। জীবনের শেষ প্রানেৱ হলেও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু হলেও দু'বেলা দু'মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে।
দীর্ঘদিনেও মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দূর-দূরানৱ থেকে আসা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারের অবস'া করুন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ শিক্ষকেরই সরকারি চাকরির বয়স চলে যাওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এব্যাপারে বর্তমান সরকার সু-দৃষ্টি না দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং নিভে যাবে শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের উচ্চতর শিক্ষার আলো। বহুদিন ধরে শ্রম দেয়া শিক্ষক কর্মচারীর কর্মসংস'ানের দিকটি এবং শতশত ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষার আলো ফিরে আনতে বর্তমান সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করবে এটাই জনগণের আশা প্রত্যাশা।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যতম সংগঠক মরহুম হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব ফারাজ উদ্দিন জোয়াদ্দার, আলহাজ্ব অহির উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আছির উদ্দিন ও প্রতিষ্ঠানের সুপার হায়দার আলী জোয়াদ্দারসহ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের উদ্যোগ ও সহযোগীতায় বিগত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এবতেদায়ী ১ম থেকে এবতেদায়ী ৫ম শ্রেণী পর্যনৱ পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে দাখিল শ্রেণী পর্যনৱ উন্নীত করে ২০০১ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০০৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। অন্য সকল প্রাচীন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলেও এটি এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি। এছাড়া বিগত সরকারের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের পরে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাও এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন' কি কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত হয়নি তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন্। তাছাড়া ওই ইনায়েতপুর জোয়াদ্দার পাড়ার হারিকেনের আলোয় পড়-য়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছে। তাদের মধ্যে ডক্টরেট ডিগ্রী ধারী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারও রয়েছে। তারপরেও উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেষ্টিত এই মাদরাসাটি বিভিন্ন সময়ে এমপিওভুক্তির আশ্বাস পেলেও এমপিওভূক্ত হয়নি।
মাদরাসার সুপার হায়দার আলী সাংবাদিককে জানান, মান্দা উপজেলার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান ইনায়েতপুর জোয়াদ্দারপাড়া দাখিল মাদ্রাসাটি মৃত হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দারসহ অনেকের সু-পরামর্শে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই আমিসহ শহিদুল, আজাহার, আঃ ছামাদসহ অনেকেই সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সহিত যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বেতন না হওয়ার কারনে জীবন চালনোর তাগিদে অনেকেই চাকুরী ছেড়ে কেউবা ঢাকায় গারমেন্টেসে, কেউবা বিদেশে আবার কেউবা রাজমিস্ত্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ১৪জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছে। অনেকেই চলে গেলেও আমরা নিজেরাই প্রতিষ্ঠানটি অনেক পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেছি তাই এখনও হাল ছাড়িনি। আমরা জানি কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে একদিন না একদিন আলোর মুখ দেখবেই। আর সেই অপেক্ষাই প্রায় ২০ বছর ধরে প্রহর গুনছি। বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে। মাদ্রাসাটির পড়াশুনার মান, ছাত্র-ছাত্রীসহ সার্বিক বিষয় অত্যনৱ ভাল এবং পাসের হারও সনেৱাষজনক। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের কোনো বেতনভাতা দেয়া হয় না, প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য খরচ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিসহ বিভিন্ন সুধীজনের অনুদানে চলে। দীর্ঘদিন থেকে বেতনভাতা না পেয়ে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তবুও আশায় আছি যদি বর্তমান সরকার আমাদের দিকে তাকায়।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি গোটগাড়ী শহিদ মামুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আখতারুজ্জামান জানান, বাবা মরহুম হাফিজ উদ্দিন জোয়াদ্দার অনেক কষ্ট করে এলাকার শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে মৃত্যুর আগের মুহুর্ত পর্যনৱ চেষ্টা করেছেন তবুও বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিকুলতার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় উন্নয়নের চাকা ঘুরানোসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি করার জন্য সরকার বাহাদুরের কৃপাদৃষ্টি আকর্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দিকে সু-দৃষ্টি দেন তাহলে অত্র এলাকার বহু ছেলে-মেয়েসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বেকারত্বের ঘানি টানা থেকে মুক্তি পাবে। জীবনের শেষ প্রানেৱ হলেও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু হলেও দু'বেলা দু'মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে।
দীর্ঘদিনেও মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দূর-দূরানৱ থেকে আসা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারের অবস'া করুন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ শিক্ষকেরই সরকারি চাকরির বয়স চলে যাওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এব্যাপারে বর্তমান সরকার সু-দৃষ্টি না দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং নিভে যাবে শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের উচ্চতর শিক্ষার আলো। বহুদিন ধরে শ্রম দেয়া শিক্ষক কর্মচারীর কর্মসংস'ানের দিকটি এবং শতশত ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষার আলো ফিরে আনতে বর্তমান সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করবে এটাই জনগণের আশা প্রত্যাশা।