দূর্নীতি ছেয়ে আছে নওগাঁ বিটিআরএ

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন বিআরটিএ’র নওগাঁ সার্কেল অফিসে বিভিন্ন দূর্র্নীতির সাথে অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগ নিয়ে তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে অফিসের দূর্ণীতির পিলে কাঁপানো কিছু চিত্র পাওয়া গেছে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমান (এডি) মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঢাকা মে:ট্র-১৪-০১৫১ ও সিলেট- জ- ১১-০৩৮৬ ঢাকা ও সিলেট পোষ্টঅফিসের ছাড়পত্র ছাড়ায় নওগাঁ জেলায় অন্তর-ভুক্তি করেন।এ ব্যাপারে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান নওগাঁতে (এডি) হয়ে এসেছি টাকার জন্য টাকা হলে সব সম্ভব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএর একজন কর্মচারী সাংবাদিককে জানান নওগাঁ- হ- ১১-৪১০৭ নং মোটর সাইকেলের দোকানের ক্যাশমেমো পুরো ফাইল পাওয়া জাচ্ছেনা। হয়ত বা টাকার বিনিময়ে (এডি) সাহেব নওগাঁ- হ- ১১-৪১০৭ নং টি ভুয়া করে দিয়েছেন এই ধরনের কাজও তিনি এর আগেও করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
নওগাঁ বিআরটিএ সার্কেলের এ অফিসে সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) (এডি) , একজন এম ভি আই বা মোটর ভেহিকেল পরিদর্শক ,অফিস পিয়ন ও একজন সিলম্যান (ডিজেল চালিত মোটর যানের ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রনের যন্ত্র গর্ভনর এর একটি নিদৃষ্ট গতি নির্দ্ধারণের পর তা সিল করা)কর্মরত রয়েছেন ।কিন্তু অফিসে গিয়ে দেখা যায় সিলম্যান নিয়োগপ্রাপ্ত না হলেও এখানে অফিসের চেয়ার টেবিল দখল করে রীতিমতো অফিস কর্মচারি সেজে আরো কয়েক জন ব্যক্তিকে নিয়ে অফিসের কাজ পরিচালনা করছেন । এ ছাড়াও নিয়োগপ্রাপ্ত সিলম্যানের নিয়োগ যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ সিলম্যান পদটি একটি যান্ত্রিক পদ হলেও নওগাঁ বিআরটিএ অফিসে নিয়োগপ্রাপ্ত সিলম্যানের কোন যান্ত্রিক যোগ্যতা নেই বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, সরকারি চাকুরিতে যোগদানের বয়সসীমা অতিক্রম - হবার পর পূর্বের এমভি আই আব্দুল হান্নান ও বর্তমান এডির তদবিরে বিআরটির দালাল থেকে তিনি এ পদে নিয়োগ লাভ করেছেন।
বর্তমান (এডি) সিলম্যানকে ব্যবহার করে নওগাঁ বিআরটিএ অফিসে বিভিন্ন কাজে যেমন প্রতি বছর গাড়ীনাদেখে ফিটনেসের জন্য ৩-৪ হাজার টাকা ও রুটপামিটের জন্য বাবদ ৩ হাজার ৫শত টাকা মালিকানা বদলী ক্ষেত্রে ৪-৫ হাজার টাকা অন্য জেলার কাগজ পত্র নওগাঁ জেলায় অন্তর-ভুক্তির জন্য ৮-১০ হাজার টাকা ও মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশনের জন্য মোটর সাইকেল প্রতি ৫শ টাকা করে সিলম্যানের মাধ্যেমে আদায় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে যে কোন বিষয়ে সিলম্যাননের সাথে কথা বলতে গেলেও টাকা ছারা কোন কথা বলতে চান না তিনি। সিলম্যাননের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগে আরও জানাগেছে তিনি (ইঞ্জিন) সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা রাখেন না। দুর দুরান- থেকে নওগাঁ বিআরটিএ-তে কাজে আসা সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা ছারাও বিআরটিএ-তে কাজে আসা মানুষের সাথে তার ব্যবহার ভালো নয় । সর্বদা ক্ষমতা শীল দলের ভয় দেখিয়ে সিলম্যানের মাধ্যেমে দানবের মত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তিনি। অফিসের জানালা দিয়ে সর্বদায় প্রচন্ড ব্যস- সিলম্যান অথবা যাচাইকারি বেলাল হোসেনের সাথে কথা বলতে হয়। এদিকে নওগাঁয় স্থায়ী ভাবে অবস্থান কারী সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমান (এডি) এর খাবার পর্যন- সিলম্যাননের বাড়ী থেকে আসে বলেও জানা গেছে।
এ সকল অভিযোগ নিয়ে নওগাঁ বিআরটিতে কর্মরত সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো: ফজলুর রহমান (এডি) সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান আমরা তাকে নিয়োগ দেই নাই। তবে নওগাঁ জেলা বাস মালিক গ্রুপ ও আগের এমভি আই আব্দুল হান্নানের সুপারিশে তাকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার পর সঠিক রহস্য উদঘাটন পূর্বক প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহনানে- প্রতিকার করা হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

এসএনএনবিডি অবল্বমনে

Popular posts from this blog

“নওগাঁয় মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা”

নওগাঁয় পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে,মেলায় অবৈধ ব্যাবসা

পুদিনা চাষ ও গুনাগুন