প্রকৃতির রম্নদ্রতায় এবারে নওগাঁয় খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে

নওগাঁ জেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রতি বছর নওগাঁয় গড়ে ৫২ হাজার ৯১৪ মে:টন মাছের উৎপাদন হয়ে থাকে। এই উৎপাদন থেকে নওগাঁর প্রয়োজনীয় ৪৩ হাজার ৬৭৫ মে:টন মাছের চাহিদা পূরনের পর অতিরিক্ত ৯ হাজার ২৩৯ মে:টন মাছ দেশের অন্যান্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। এবারে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে নওগাঁর মাছের চাহিদাই পূরণ হবে না। প্রসঙ্গত ভরা বর্ষাতেও নওগাঁ বাজারে খাল, বিল ও নদীর কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
একই কারণে এ বছর নওগাঁয় পাট চাষীরা তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে মহা বিপাকে রয়েছে। বৃষ্টির অভাবে পাটের ফলন কম হলেও পাট পচানোর চিন্তায় কৃষকদের বিপদে রয়েছে। অবশ্য কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ চাষীদের এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে কৃষকদের 'রিবন রেটিং' পদ্ধতিতে পাট পচানোর জন্য উৎসাহিত করছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তারা কৃষকদের আর্থিক সহায়তাও প্রদান শুরম্ন করেছে।
চলতি আমন মৌসূমে নওগাঁয় ধানের উৎপাদন মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকা ভেদে কিছুকিছু বৃষ্টিপাত হওয়ায় ইতিমধ্যে কৃষকেরা ধান রোপন করলেও অধিকাংশ স্থানেই পানির অভাবে ৰেতের ধান শুকিয়ে গেছে। নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার অধিকাংশ জমিই এখনো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয় নি। যে সকল জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়েছিল তাও আবার পানির অভাবে শুকিয়ে পড়ছে। কৃষকেরা সেচের মাধ্যমে তাদের জমির ধান বাঁচাতে চেষ্টা করেও বিদ্যুতের অভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।
প্রকৃতির এই বিরূপ মনোভাবের কারণে শুধুমাত্র ধান উৎপাদনের এলাকা বলে খ্যাত নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের মহাদেবপুর, মান্দা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, সাপাহার পোরশা ও ধামুরহাট উপজেলায় খাদ্য অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের জন্য খ্যাত নওগাঁ জেলায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে গেলে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারি ভাবে দৃঢ সিদ্ধানৱ গ্রহণ করা না হলে এবারে নওগাঁয় প্রচন্ড খাদ্যাভাব দেখা দিবে। এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে নওগাঁ কৃষকেরা সরকারের নীতি নির্দ্ধারক মহলের দৃষ্টি কামনা করছে।
সূত্রঃ এসএনএনবিডি