নওগাঁয় লাখ লাখ মানুষ বেকারত্বের কারণে ঋণগ্রস'

সময় মতো বৃষ্টিপাতের অভাবে দীর্ঘদিনের কর্মহীনতায় নওগাঁর ৩০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের হাতছানিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এমনিতেই নওগাঁর পোরশা, সাপাহর ও নিয়ামতপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিবছর জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন- নিরব দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করে আসলেও এবছর সেই দৃর্ভিক্ষ এখনো পর্যন- বহাল রয়েছে। কৃষি ভিত্তিক নওগাঁ জেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিবছর জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত বোরো আমনের বাম্পার উৎপাদনের পর ধানের দাম না পাওয়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে নওগাঁর কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এর সাথে অনাবৃষ্টি যোগ হওয়ায় নওগাঁয় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্র এখোনা কুড়ি শতাংশে পৌছায় নি। ফলে চলতি রোপা আমন মৌসুমে নওগাঁয় আমন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্র অর্জত হবে না বলে নওগাঁর সাধারণ মানুষ মনে করে। অপরদিকে পানির অভাবে এবং অনাগ্রহের কারণে নওগাঁয় এবারে আউস উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার ১৫ শতাংশও অর্জন করেনি। গত রোরো আমন মৌসুমে নওগাঁর কৃষকদের উৎপাদিত ধান এখনো কৃষকের গোলায় মওজুদ পরে আছে। সার, বীজ, কীটনাষক ও শ্রমিক মজুরি মিলিয়ে গত মৌসুমে একজন কৃষকের বিঘা প্রতি ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৬ হাজার ২শ টাকা। কিন' বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় এক বিঘা জমির উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষকেরা ৪ হাজার টাকার বেশী দাম না পওয়ায় এখনো তারা ধান বিক্রি না করে গোলায় মওজুদ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এই একই কারণে মওজুদ ধান আগামীতে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করতে হবে মনে করে এবারে কৃষকদের মধ্যে ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এর সাথে অনাবৃষ্টি যোগ হওয়ার ফলে বীজতলা শুকিয়ে যাওয়ায় এবারে জেলার ৮০ শতাংশ ধানের জমি অনাবাদি পরে আছে। এই কারণে নওগাঁর কয়েক লাখ মানুষ কাজের সুযোগ হারিয়ে বসে বসে বেকার জীবন পার করেতে গিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে এবং মহাজনদের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকদের দিন দিন ধান চাষে অনাগ্রহ এবং শ্রমজীবিদের ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে পড়াকে দুর্ভিক্ষের হাতছানি বলে মনে করছেন জেলার বিশ্লেষক মহল।


সূএ: এসএনএন মিডিয়া

Popular posts from this blog

“নওগাঁয় মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা”

নওগাঁয় পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে,মেলায় অবৈধ ব্যাবসা

দূর্নীতি ছেয়ে আছে নওগাঁ বিটিআরএ