একজন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের সাক্ষাত্কার শেষ পর্ব
প্র : এটা কোন্ মাসের দিকে? উ : এটা অগাস্টের দিকে হবে। সেদিন ওখানে প্রায় ২০/২৫ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিলো। যারা মুক্তিযুদ্ধে এসেছিলো বা যারা শরণার্থী ছিলো তারা সবাই খবর পেয়ে জমায়েত হয়েছিলো ওখানে। প্র : সভা স্থল কোথায় ছিলো? উ : এটা বালুরঘাট শহরে। ওখানে ঐ মিটিংয়েই লোকজন চারিদিক থেকে আমার পক্ষে স্লোগান এবং আমার বিপক্ষে যারা অভিযোগ করেছিলো তাদের ধিক্কার দিয়ে স্লোগান দিয়েছিলো। তখন ওখানেই ‘উত্তরবঙ্গ মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’ হলো। ওনারাই সেটা করে দিয়ে গেলেন। আমাকে তাঁরা এই কমিটির কনভেনর করে দিয়ে গেলেন আর বাকি ছয়জনকে কমিটির মেম্বার করে দিলেন। এই ছয়জনের মধ্যে ঐ যে অভিযোগ যারা করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে চারজন এম.পি.ও ছিলেন। সাত সদস্য বিশিষ্ট একটা কমিটি ওনারা করে দিয়ে গেলেন। এই কমিটি পরবর্তীকালে ঐ এলাকার যাবতীয় কাজ কো-অর্ডিনেট করেছে। ঐ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অফিসিয়াল কো-অর্ডিনেশনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার থেকে পরে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। পরবর্তীকালে নানা ধরনের বিরোধিতার পরও আমি যেটা বলবো, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরপেক্ষ সমর্থনটা, সহযোগিতাটা আমি বেশি পে...