এক জন মুক্তিযুদ্ধা জলিলের সাক্ষাৎকার (পর্ব ৩য়)
প্র : বোমা কি বিহারীরা বানাচ্ছিলো? উ : হ্যাঁ, বিহারীরা। তারপরে আমরা কনফার্ম হয়ে গেলাম যে, বিহারীরা হয়তো কোনো ষড়যন্ত্র করছে। এরকম অনেক ঘটনা তখন ঘটেছিলো। এখন সব ভুলে গেছি। যাহোক, তারপর ওদেরকে (বিহারীরা) নিয়ে আমি বসলাম। তাদের বললাম যে, দেখো আমাদের ম্যুভমেন্টের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নাই। এটা পারসোনাল একটা ব্যাপার। ইনসিওরেন্স ক্লেম পাওয়ার আশায় সে এটা করেছে। এটার সঙ্গে আমাদের ম্যুভমেন্টের বা বিহারী বাঙালির কোনো সম্পর্ক নেই। তারপর ঐ ব্যাপারটা তখন মিটে গেলো। তারপর থেকে আমাদের কর্মসূচি বা আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিচ্ছি। ২৬ মার্চের পরে আমরা সংগ্রাম পরিষদের অফিস করলাম কে. ডি. স্কুলে। ওখানে আমরা ২৪ ঘন্টা থাকতাম। আমরা যুবক ছেলেপেলেদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করলাম। ২৬ তারিখে মেজর নজমুল হক বললো যে, রংপুর থেকে বগুড়ার দিকে পাক আর্মি আসছে। ওদের রাস্তায় কোথাও ব্লক করা দরকার। এরপর উনি বললেন যে, আমি কিছু ছেলেকে এক্সপ্লোসিভ ট্রেনিং দেই। আপনি কিছু ছেলে দেন। আমি ট্রেনিং দিয়ে ওখানে পাঠাই। রাস্তায় কোথাও অন্তত: একটা ওবস্ট্রাকশন দিতে পারলে অন্তত ৭ দিন ওরা ওখানে বন্ধ হয়ে থাকবে। ওরা ফারদার ক্লিয়ারেন্স ছাড়া আর ম্যু...